ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

স্বপ্নের কথা জানালেন জেনিফার

আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৫ জুন ২০২৫

স্বপ্নের কথা জানালেন জেনিফার

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন। তার অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ‘লেপ্রেকন’ নামে একটি হরর কমেডি সিনেমা দিয়ে। এরপর ‘উই আর দ্য মিলার্স’, ‘মার্ডার মিস্ট্রি’ থেকে শুরু করে অ্যাপল টিভি প্লাসের আলোচিত সিরিজ ‘দ্য মর্নিং শো’ প্রতিটি কাজেই তিনি নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন নতুনভাবে।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি পরিচালক, প্রযোজক এবং ব্যবসায়ী। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত টিভি ধারাবাহিকে ‘ফ্রেন্ডস’ এর র‌্যারচেল গ্রিন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান। এই চরিত্রটির জন্য তিনি এমি, গোল্ডেন গ্লোব ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেছেন। কিন্তু এই চেনা অ্যানিস্টন এবার নিজেকে আবিষ্কার করতে চাইছেন ব্রডওয়ের মঞ্চে।
সম্প্রতি ‘পিপল’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানালেন, তার দীর্ঘদিনের লালিত এক স্বপ্নের কথা। ৫৬ বছর বয়সী এই মার্কিন অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি অবশ্যই একটি ব্রডওয়ে নাটকে অভিনয় করতে চাই। এটা আমার ‘বাকেট লিস্টে’ রয়েছে। ব্রডওয়ের মঞ্চে অভিনয় জেনিফারের শুধু ইচ্ছাই নয়, বাস্তবায়নের জন্য খুঁজছেন সঠিক সময় আর উপযুক্ত গল্প। তিনি বলেন, ‘আমি এটা করতে চাই, করতেই হবে। শুধু একটু সময় দরকার। আর প্রয়োজন সঠিক গল্প।’
জানা গেছে, জেনিফারের এই ব্রডওয়ে-প্রেম আসলে একেবারে নতুন নয়। বহু আগে, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, তিনি অভিনয় করেছিলেন অফ-ব্রডওয়ের মঞ্চে। তারপর টেলিভিশন সিরিজ, সিনেমা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন গ্ল্যামার ও প্রতিভার প্রতীক। তবুও সেই পুরানো প্রেম, ব্রডওয়ের প্রতি টান আজও রয়ে গেছে তভর হৃদয়ে। আগামী সেপ্টেম্বরে ‘দ্য মর্নিং শো’র চতুর্থ সিজন মুক্তি পাবে। এই সময়টাতে জেনিফারের জীবন কেবল কর্মজীবনের ব্যস্ততায় সীমা নেই। তিনি বলেন, ‘যদি সারাক্ষণ কাজ করি, তাহলে জীবনের অন্য অভিজ্ঞতাগুলো কীভাবে আসবে? আমার এখন দরকার, একদিন পুরো ফাঁকা সূচি যেখানে কিছুই করতে হবে না। সেই দিনটা ধীরে ধীরে নিজেই গড়ে উঠবে।’
এই ব্যস্ততার মধ্যেই পুরানো সম্পর্কের গল্পও ঘুরে ফিরে আসছে। অনেক আগে, ব্র্যাড পিটের সঙ্গে সম্পর্কের আগেই, জেনিফার প্রেমে পড়েছিলেন ড্যানিয়েল ম্যাকডোনাল্ড নামে এক মঞ্চ অভিনেতার। ব্রডওয়েতে অভিনয়ের স্বপ্ন ছিল তাদের দু’জনেরই। কিন্তু ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজে র‌্যারচেল চরিত্র পেয়ে সেই স্বপ্ন থেকে সরে যেতে হয় জেনিফারকে। আজ এত বছর পর সেই থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে জেনিফারের মনে। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি এখনই সময়। হয়তো একটু সময় নিতে হবে, হয়তো একটু থামতে হবে কিন্তু আমি ব্রডওয়েতে যাবই।’ হয়তো জেনিফারের এই প্রত্যাবর্তন হবে শুধু একটি মঞ্চে পা রাখা নয় একজন শিল্পীর নিজের শেকড়ে ফেরা, নিজের প্রথম ভালোবাসার কাছে ফিরে যাওয়া। আর আমরাও অপেক্ষায় থাকব র‌্যারচেল গ্রিন নয়; বরং থিয়েটারের এক নতুন নায়িকা হয়ে কবে জেনিফার অ্যানিস্টন তালি কুড়াবেন সেই মঞ্চের আলোয়।

প্যানেল

×