বলিউড সুপারস্টার আমির খানের নতুন সিনেমা ‘সিতারে জামিন পার’ ২০ জুন মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। প্রথম দিনের আয় নিয়ে হতাশা থাকলেও, মাত্র পাঁচ দিনেই সিনেমাটি ভারতীয় বক্স অফিসে আয় করেছে ৭৫ কোটির বেশি রুপি—যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, এটি দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
স্প্যানিশ চলচ্চিত্র ‘ক্যাম্পিওনেস’-এর হিন্দি রিমেক এই সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিন সিনেমাটির আয় ছিল ১০.৭ কোটি রুপি। তখন অনেকে মনে করেছিলেন, হয়তো আবারও আমির খানের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়বে। তবে সে ধারনা একেবারেই মিথ্যা প্রমাণ করেছে এই ছবি।
পরদিন থেকেই ছবির আয় বাড়তে থাকে। শনিবার আয় করে ২০.২ কোটি রুপি, রবিবার আরও বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২৭.২৫ কোটিতে। সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা কমলেও, প্রতিদিনই ৮.৫ কোটি রুপি করে আয় ধরে রাখে সিনেমাটি।
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহ শেষে শুধুমাত্র ভারতীয় বক্স অফিসেই ছবিটি ৯০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে।
এই সিনেমায় আমির খানকে দেখা গেছে এক কঠোর অথচ স্নেহশীল বাস্কেটবল কোচের ভূমিকায়, যিনি নিউরোডাইভারজেন্ট—অর্থাৎ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন—দশটি শিশুকে নিয়ে গড়ে তোলেন একটি ব্যতিক্রমী দল। শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আর নানা মানসিক টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় কাহিনি।
ছবিটির আবেগঘন মুহূর্তগুলো দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। গল্পের প্রতিটি দৃশ্য কখনও চোখে জল আনে, কখনও হাসির খোরাক জোগায়। এককথায়, সিনেমাটি শুধু বিনোদন নয়, সামাজিক বার্তাও বহন করে।
আমির খান আবারও প্রমাণ করলেন, অভিনয়ে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রাগ, আবেগ আর কৌতুক—সবকিছু দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের চরিত্রে।
ছবিতে আমিরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা। বিশেষ চরিত্রে যারা ছিলেন—তারা হলেন আরুশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বনশালি, আশিস পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরান মঙ্গেশকর।
‘সিতারে জামিন পার’ শুধু একটি সিনেমা নয়—এটি একটি অনুভূতির নাম। বক্স অফিসে সফলতার পাশাপাশি এটি হয়ে উঠেছে দর্শকদের আবেগের একটি বড় অংশ।
রাজু
