সিঙ্গাড়া।
সকালে নাস্তা হোক কিংবা বিকালের স্ন্যাকস, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা ক্লাসের ফাঁকে ক্ষুধা মেটাতে চা-শিঙাড়া সবার প্রথম পছন্দ। টমেটো সস দিয়ে শিঙাড়া-সমুচা খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি কমই আছেন। শুধু দেশেই নয়, যে কোনো দেশে গিয়েও অনেক দাম দিয়ে এই স্ন্যাকস খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই।
তবে জানেন কি? এই মজার খাবারটি একটি দেশে নিষিদ্ধ। একেবারে আইন করে নিষিদ্ধ এই খাবার। বানানো, বিক্রি করা এববং খাওয়া সবই নিষিদ্ধ। যে দেশটি করা বলছি, সেটা হচ্ছে সোমালিয়া। সেদেশে শিঙাড়া সমুচা নিষিদ্ধ। এই দেশে গেলে কখনো ভুলেও শিঙাড়ার কথা বলবেন না। বিপদে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন : তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবেন যে সহজ উপায়ে
মূলত চরমপন্থী গোষ্ঠী আল-শাবাব এখানে শিঙাড়া তৈরি, খাওয়া ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। তারা বিশ্বাস করে যে শিঙাড়া তিনটি বিন্দু খ্রিস্টানদের পবিত্র প্রতীক। সোমালিয়ায় যেমন শিঙাড়া খাওয়া যায় না, তেমনই কেচ-আপ বা টমেটো সস খাওয়া যায় না ফ্রান্সে। গোটা দেশেই নিষিদ্ধ কেচ-আপ।
সিঙ্গাপুরে চুইংগাম নিষিদ্ধ। সেখানে ১৯৯২ সালে এক ব্যক্তি একটি গাড়িতে চুইংগাম আটকে দেওয়ায় কয়েক ঘণ্টা বিঘ্নিত হয়েছিল পরিবহন পরিষেবা। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল জনগণকে। তারপর থেকে চুইংগাম নিষিদ্ধ এ দেশে।
মালয়েশিয়া সরকার সে দেশে হলুদ রঙ নিষিদ্ধ করেছে। ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লোকজন হলুদ টি-শার্ট পরেছিল। সেটা নিয়ন্ত্রণে আনতেই সরকার সরকারি জায়গায় হলুদ রঙের পোশাক নিষিদ্ধ করেছিল।
গ্রীসে ভিডিও গেম নিষিদ্ধ। শুধু ভিডিও গেম নয়, যে কোনো ধরনের কম্পিউটার গেম নিষিদ্ধ সেখানে। ২০০২-তে আইন তৈরি করে গেম নিষিদ্ধ করা হয়েছে গ্রীসে। এছাড়া নীল রঙের জিন্স পরা যায় না উত্তর কোরিয়ায়। সে দেশের শাসকের দাবি, নীল রং তাদের আমেরিকার কথা মনে করিয়ে দেয়, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসআর