ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

জাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ২

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ১৯ জুন ২০২৩

জাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ২

আটক ব্যক্তিরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আরেক জনের হয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে বিশ্বিবিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৯ জুন) ‘বি’ ইউনিটের ৩য় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে সোহেল রানা এবং ৪র্থ শিফটের পরীক্ষায় বিজনেস স্টাডিজ ভবন থেকে মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল নামের দুই যুবককে আটক করা হয়।

আটককৃত সোহেল রানা নাজমুল হক নামের এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে এই পরীক্ষা দিতে আসেন। প্রক্টরিয়াল অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয় দেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। 

সোহেলের পিতার নাম সোহাগ আলি ও মাতার নাম আমেনা বেগম। নাজমুলের পরিবর্তে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি এ পরীক্ষা দিতে আসেন বলে জানান।

অপর আটককৃত শাকিল মুঈন তাজদীদ মাহি নামের এক শিক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় বসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

সোহেল রানা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি এর আগে কখনও কোথাও প্রক্সি দেইনি। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার এলাকার স্থানীয় বড় ভাই ইমরান ইমনের মাধ্যমে এখানে এসেছি। ইমরান ইমন নাজমুল হকের ফুফাতো ভাই বলে জানি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। তারা এখন আমাদের জিম্মায় আছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছি। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অভিযুক্তকে তারা শাস্তি দিবেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত সোহেল রানা গতকাল ‘সি’ ইউনিটেও ঐ একই পরীক্ষার্থীর হয়ে প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। আমরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিকে জানিয়ে তার সি ইউনিটের উত্তরপত্র বাতিল করেছি।

ুএ বিষয়ে জানতে ইমরান ইমনের নাম্বারে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×