
আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হতে পারে। এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করা হলে এ শিল্পখাত টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। গত ২ জুন ঘোষিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আগের চেয়ে বাড়তি কর দিয়ে এসব ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়। এ নিয়ে এখন সমালোচনা চলছে।
কোনো কোনো মহল থেকে অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কেনা এবং ভবন নির্মাণে অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করা কথা বলছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি কালো টাকা সাদা করার সুবিধা অব্যাহত রাখা এবং ফ্ল্যাট নিবন্ধন ব্যয় কমানোসহ কিছু দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের একটি প্রতিনিধি দল। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের উপস্থিতিতে রিহ্যাবের শীর্ষ স্থানীয় ৯ জন সদস্য এতে অংশ নেন। ওই বৈঠকে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখার দাবি জোরালো দাবি জানানো হয়।
রিহ্যাবের নেতারা জানান, আইনগত জটিলতার কারণেই নৈতিকভাবে অর্জিত অর্থ অনেক সময় অপ্রদর্শিত কালো টাকা হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সবারই কমবেশি স্পষ্ট ধারণা আছে। তবে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগের সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে ফ্ল্যাট-প্লট বা জমি বেচাকেনা বহুলাংশে কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে আবাসন খাতের কয়েক লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ ও হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
এছাড়া ২৫০টির বেশি ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে পুরো বিষয়টি অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ বিষয়টি অর্থ উপদেষ্টা ও এনবিআর চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, প্রস্তাবিত বাজেটে যেটি ঘোষণা করা হয়েছে সেটি বহাল রাখা হবে। এদিকে, আগামী ২২ জুন আগামী অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করবে উপদেষ্টা পরিষদ। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে ব্যবসায়ী, বাণিজ্য সংগঠন ও সাধারণ নাগরিকের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
এগুলো পর্যালোচনা করেই বাজেট পাস করানো হবে। এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ বাতিলের বিষয়ে বিভিন্ন মহল বলা হচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে এ সুযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে জোর দাবি জানানো হয়েছে। সরকার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে যৌক্তিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।