ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

সঞ্চয়পত্র বনাম শেয়ার বাজার, কোথায় বেশি নিরাপদ আপনার টাকা?

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ১৭ জুন ২০২৫

সঞ্চয়পত্র বনাম শেয়ার বাজার, কোথায় বেশি নিরাপদ আপনার টাকা?

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনেক, তবে ঝুঁকিও কম নয়। কেউ কেউ ভালো লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারে টাকা খাটান, আবার কেউ পড়েন উচ্চ সুদের প্রলোভনে সমবায় সমিতির ফাঁদে। অনেক সময় দেখা যায়, এই সব সিদ্ধান্তের ফল হয় মারাত্মক পুঁজি হারিয়ে বাড়ি থেকে টাকা এনে দেন দেনা শোধ করতে হয়।

বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে এক সময় ব্যাংকের স্থায়ী আমানত বা এফডিআর ছিল জনপ্রিয়। তবে বর্তমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে প্রকৃতপক্ষে লোকসানই হচ্ছে। শহরাঞ্চলে জমি কেনার প্রবণতাও রয়েছে, কিন্তু জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে জটিলতা বড় বাধা।

সঞ্চয়পত্র: নিরাপদ বিনিয়োগের সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম

এই প্রেক্ষাপটে সঞ্চয়পত্র এখন অনেকেরই আস্থা ও ভরসার প্রতীক। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের কাছে এটি একদিকে যেমন নির্ভরযোগ্য, অন্যদিকে লাভজনকও। বর্তমানে সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার সামান্য বাড়িয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশী সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ১২.৪০% পর্যন্ত সুদ পাওয়া যাচ্ছে। তিন মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের প্রথম মেয়াদে ১২.৩০% এবং পরে ১২.৫০% পর্যন্ত সুদ দেওয়া হচ্ছে।

পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১২.৫০% এবং পেনশন স্কিমে সাত লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগে এই হার আরও বেশি। তবে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে ইলেকট্রনিক টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ব্যাংকিং ঝুঁকি ও বাস্তবতা

বর্তমানে কিছু ব্যাংক উচ্চ সুদের লোভ দেখালেও সেখানে বিনিয়োগ নিরাপদ নয়। কারণ এসব ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে এবং আমানত সংগ্রহে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ব্যাংকের আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল হলে জমা রাখা অর্থের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।

বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ

বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে যারা নতুন করে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে উপযুক্ত ও নিরাপদ মাধ্যম। যেকোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগ করা উচিত। স্বল্প ঝুঁকির বিনিময়ে স্থিতিশীল মুনাফা পেতে চাইলে সঞ্চয়পত্রই হতে পারে সেরা সমাধান।

আঁখি

×