ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

৫৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

৫৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সদ্যসমাপ্ত ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল গত ৫৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ সময় দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। এর আগে নবেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়েনি, বরং কমেছে। ফলে স্বস্তিতে বছর শেষ করতে পেরেছন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতি বিষয়ক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকারের বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্যস্ফীতি সেই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে। এ জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মন্ত্রী জানান, ডাল, শাক-সবজি, পেঁয়াজ এবং আদার দাম কমায় খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমেছে। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত উপখাত- যেমন পরিধেয় বস্ত্রাদি, জ্বালানি ও আলো, আসবাবপত্র, গৃহস্থালী, চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদির দামও সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মন্ত্রী জানান, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্র্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কম দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্যে ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে একই ছিল। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
×