ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ব্যাটারিচালিত যানের চালক পাবেন লাইসেন্স

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ২১ মে ২০২২

বরিশালে ব্যাটারিচালিত যানের চালক পাবেন লাইসেন্স

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ সরকারের যে নিয়ম রয়েছে, তা মেনেই ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স দেয়া হবে। পাশাপাশি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পোশাক দেয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সর্বোচ্চ আগামী তিন মাসের মধ্যে নগরীর প্রতিটি সড়কে ব্যাটারিচালিত যান চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ উল্লেখিত কথাগুলোর পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং রিকসা মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে আরও বলেছেন, ব্যাটারিচালিত রিক্সার প্রত্যেক চালকের সাত দিনের প্রশিক্ষণ হবে। সব রাস্তা দিয়ে চলতে পারবেন। এজন্য বিভিন্ন দফতরসহ ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে আইন করা হবে। রিনিউ ফি আগের চেয়ে কমিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া যাত্রী নিরাপত্তায় গাড়ির ফিটনেস ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। মেয়র বলেন, এই শহরে কারও কাছ থেকে সিটি কর্পোরেশনের কেউ চাঁদা উত্তোলন করেন না। মেয়র হওয়ার আগেও শ্রমিকদের পক্ষে ছিলাম, মেয়র হওয়ার পরেও শ্রমিকের পক্ষে আছি। সিটি কর্পোরেশন থেকে পূর্বে যে ২৬১০টি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছিল, সেই বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ যেখানে প্রায় আট হাজার গাড়ি, যাদের রেজিস্ট্রেশন নেই তারা রাস্তায় টাকা দিয়ে চলছে, আর যারা বৈধ তারা সিটি কর্পোরেশনকেও টাকা দিবে, আবার রাস্তায় কথিত সংগঠনকেও টাকা দিবে এটা হয় না। এ কারণে সিটি কর্পোরেশনের বছরে প্রায় এক কোটি টাকা গচ্ছা হচ্ছে। তারপরেও আমি চাই মহানগরীর আমার শ্রমিক ভাইয়েরা ভাল থাকুক। মেয়র আরও বলেন, মানুষের মুখে শুনেছেন মেয়র সাহেব এটা করে, ওটা করে। কিন্তু এই শহরে ব্যাটারিচালিত যানবাহন থেকে কারা টাকা উঠাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কোন লোক টাকা উঠাচ্ছে না; বরং বিভিন্ন দলের নামে টাকা উঠানো হচ্ছে। প্যাডেল রিক্সায় যেটায় ব্যাটারি লাগানো হয়েছে, সেই রিক্সার জন্য এখন তারা বিআরটিএর অনুমোদন চায়। প্যাচ বাজিয়ে অর্থ লুটপাট করতে পারবে না জেনে, এখন বলছেন বিআরটিএর কথা। সিটি মেয়র আরও বলেছেন, গত ১৬ মে যে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের প্রধান সমস্যার কথা উল্লেখ নেই। রয়েছে শুধু একটি রাজনৈতিক দলের কথা লেখা। ওই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা যখন শুনছে, আমি অনুমতি দিতেছি। তখনই তারা নাটক শুরু করেছে। কাউকে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের শ্রমিকের টাকা দিয়ে চলা লাগবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, যদি টাকা দেন তাহলে সরকারের রাজস্বে টাকা দিবেন। কোন ব্যক্তি আপনাদের যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। শুধু সিটি কর্পোরেশনই আপনাদের চলাচলে অনুমতি দিতে পারবে। সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, যারা টাকা-পয়সা উঠায়, তারা আপনাদের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু চায় না। আপনাদের ব্যবহার করে পাশে রেখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সরকারের উন্নয়নকে তারা গালি দিচ্ছে। মেয়র বলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি আপনাদের জন্য কাজ করে যাবো। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে চার্জের ব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা চার্জ দিয়ে টাকা দিবেন, এতে সরকার টাকা পাবে। আর ওই চার্জিং স্টেশনে আপনাদের মতো আরও অসচ্ছল একাধিক ব্যক্তি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনের সড়ক অবরোধ করে থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সকল থ্রি-হুইলার যানবাহনে দ্রুত লাইসেন্স দেয়ার দাবি করা হয়। সমাবেশ শেষে সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) প্যাডে সিটি কর্পোরেশনে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
×