ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অটুট থাকুক শান্তি

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

অটুট থাকুক শান্তি

প্রতিটি মানবসন্তান জন্মের পর ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে। বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তার নানাবিধ চাহিদা। পরিবর্তন ঘটে চিন্তাচেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গির। এই পরিবর্তন স্বাভাবিক। স্বতঃস্ফূর্ত। একসময় মানুষ অনুভব করে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। বিয়ের মাধ্যমেই এই চাহিদার পরিসমাপ্তি ঘটে। এলোমেলো ভাবনার একটা ছেলেও বিয়ের পর পুরোদস্তুর দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে মায়ের হাতের রান্না খেয়ে খেয়ে বেড়ে উঠা সদ্য বিবাহিত চঞ্চলা মেয়েটিও। একসময় দুষ্টু প্রকৃতির সন্তানাদিকে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। অভিভাবকের ধারণা ছিল, বিয়ে দিয়ে দিলে তাঁর ছেলে বা মেয়ের চঞ্চলতা থেমে যাবে। হতোও তাই। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। বহুবিধ কারণে বিয়েশাদি এখন কঠিন হয়ে উঠেছে। একজন উপযুক্ত যুবক বিয়ে করতে গিয়ে হোঁচট খান। বিয়ের চিন্তা করতেই এসে হাজির হয় ক্যারিয়ারের বিষয়টি। শুধু এ কারণেই অনেকে বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেলেও মুখ বুজে সহ্য করেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের বিষয়টি আরও জটিল। আরও কঠিন। যৌতুক নামক অভিশাপ একটা ফুটফুটে তুলতুলে মেয়েকেও বিপন্ন করে তুলে। পিতাকে করে কন্যদায়গ্রস্ত। ফলে সমাজ দেহে ছড়িয়ে পড়ছে অনৈতিকতার বিষবাষ্প। বিয়ে হচ্ছে নারী-পুরুষের পরস্পরের আকর্ষণকে বৈধভাবে মিটানোর চমৎকার মাধ্যম। উচ্ছৃঙ্খল যৌনজীবন টেকসই ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ। পশ্চিমা বিশ্ব আজ এই উচ্ছৃঙ্খল যৌন জীবনের ভয়াবহতা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ভেঙে পড়েছে তাদের পারিবারিক বন্ধন। ফলে টগবগে যৌবনের জৌলুস মিইয়ে এলে তাদেরকে ঠাঁই নিতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। বিপরীতে আমরা আছি অনেক সুখে। অনেক আরামে। নিরাপদে। শারীরিক অক্ষমতার সময় প্রীতির হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে আদরের সন্তানগুলো। খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেন তারা। অতএব বিয়েশাদির এই অমূল্য ধারাটি অব্যাহত থাকুক মহাপ্রলয় অবধি। অটুট থাকুক শান্তিময় পারিবারিক বন্ধন। ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে উঠুক সুন্দর পৃথিবী। জকিগঞ্জ, সিলেট থেকে
×