গত ১৬ জানুয়ারি রবিবার রংপুরে নবনির্মিত বিভাগীয় সদর দফতর ভবন, মাল্টিপারপাস হল, বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্স উদ্বোধনকালে রংপুরের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারপ্রধান সারা বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাতারে নিয়ে আসতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ শুধু রংপুরের উন্নয়ন নয়, বরং বর্তমান সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণেরও এক ব্যাপক ও মহত্তম লক্ষ্য। রাজধানীকেন্দ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রমগুলো দেশের বিভাগ ও জেলা শহরগুলোতে সম্প্রসারিত করতে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন মহাযজ্ঞ এক নতুন বাংলাদেশের নবযাত্রা।
প্রযুক্তির বিশ্বে বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী এক সময়ের রংপুরের দুর্দশার চিত্র উল্লেখ করে বর্তমানে তা কোন্ পর্যায়ে সেটাও জোরালোভাবে তুলে ধরেন। মঙ্গা এবং দুর্ভিক্ষের অঞ্চল হিসেবে পরিচিত উত্তরবঙ্গের এই পিছিয়ে পড়া জেলাটি বর্তমান সরকারের সার্বিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় শামিল হওয়াও দেশের জন্য অনন্য প্রাপ্তি। নৌকায় সমর্থন জানানোর সুফল আজ রংপুরবাসীর দোরগোড়ায়। বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগামিতায় যে মাত্রায় বিশ্ব কাতারে দাঁড়িয়েছে সেভাবেই সারা বাংলাদেশকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে প্রবৃদ্ধিকে নজরকাড়া করা হচ্ছে।
এখানে সরকারী কার্যক্রমের প্রশাসনিক কাঠামোকে বিভিন্ন বিভাগীয় শহর ও জেলায় সম্প্রসারিত করাও এক বিশেষ উদ্যোগ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা ছাড়াও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাও বর্তমান সরকারে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা। বাংলাদেশের জেলা-উপজেলাই নয়, গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই বর্তমান সরকারের অবধারিত উন্নয়ন মহাযজ্ঞ। সেখানে আমার শহর-আমার গ্রাম- উন্নয়নের প্রত্যয়টিও এক অবিচ্ছিন্ন সুতায় গেঁথে আছে। আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ তৈরির অনন্য কর্মযোগে এক সময়ের বিপন্ন অঞ্চল রংপুরকে যে মাত্রায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেখান থেকেই অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া রংপুর উন্নয়নের কাতারে অভিষিক্ত হয়। গত ১৩ বছরের অব্যাহত যাত্রাপথে রংপুরের দৃশ্যমান উন্নয়নও এক ভিন্ন মাত্রার চিত্র। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলকেই পিছিয়ে রাখা যাবে না। তা হলে সার্বিক উন্নয়ন দৃশ্যমান হতে হবে বিলম্বিত।
শীর্ষ সংবাদ: