ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে ড্র করেও বিদায় মুক্তিযোদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে ড্র করেও বিদায় মুক্তিযোদ্ধার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ড্র করেও স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে এই আসরের ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। সোমবার ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সি-গ্রুপের এই ম্যাচে ‘দ্য রেডস্’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফুটবল দলের সঙ্গে। এই ড্রতে নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে পয়েন্টের খাতা খুলল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তাতে কোন ফায়দা লুটতে পারেনি তারা। ৩ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল তারা। নিশ্চিত হয়েছে তাদের। তাদের কপাল খারাপÑম্যাচে আগে গোল করে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত এই অগ্রগামিতা আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। গোল করেন মুক্তির আইমান ও সেনাবাহিনীর সামিউল। দুই দলের এই ড্রয়ে শেষ আট নিশ্চিত হয় গ্রুপের অপর দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে সাইফ-মোহামেডান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে সেনাবাহিনীকে। সাইফ জিতলে বাদ পড়বে মোহামেডান তবে সাদা-কালোরা জিতলে নিশ্চিত হবে তাদের শেষ আট। আর ড্র হলে হেড টু হেড বা গোল ব্যবধানে সেনাবাহিনী বা মোহামেডানের যেকোন এক দল চূড়ান্ত হবে। সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি হয়। ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ এজন্য শুরু হতে পারেনি। কিন্তু কমলাপুরে টার্ফ ছিল বলে ঠিকই ফুটবল ম্যাচ হতে পেরেছে। ফলে নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়ায় মুক্তিযোদ্ধা-সেনাবাহিনীর ম্যাচ। বৃষ্টি ভেজা টার্ফে ম্যাচ শুরুর মাত্র ৮ মিনিটের মাথাতেই লিড নেয় মুক্তিযোদ্ধা। বা প্রান্ত থেকে দিদারের চমৎকার ক্রস ইনে বক্সে বল পেয়ে পোস্টের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর জাল কাঁপান মিসরীয় ফরোয়ার্ড আহমেদ আইমান (১-০)। ১৩ মিনিটে বক্সের বেশ কাছেই ফ্রি কিক পেয়েছিল সেনাবাহিনী। ইমনের ছোট ক্রস বাধা পেয়ে ফেরত আসে মুক্তির মানব রক্ষণ দেয়ালে। ১৭ মিনিটে মাঠের বা প্রান্ত থেকে দিদারের শট সামনে এগিয়ে এসে ফিস্ট করেন সেনাবাহিনীর গোলরক্ষক আলমগীর। ২৩ মিনিটে রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে যাচ্ছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু গোলের সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন রঞ্জুু। ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দিদারুলের ফ্রি কিক পোস্টের কাছ থেকে হেড নিয়েছিলেন ছোমা। বল পেয়ে ডান পায়ে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ইউনুসা কামারা। তবে এবার দক্ষতার সঙ্গেই বল ক্লিয়ার করেন সেনার ফুটবলাররা। ৩০ মিনিটে বক্সের সামান্য সামনেই ফ্রি কিক পায় মুক্তিযোদ্ধা। টেটসওয়াকির স্পট কিক চলে যায় বারের উপর দিয়ে। ৩৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ফ্রি কিক পেয়ে দূরপাল্লার শট নেন টেটসওয়াকি। বল ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলে দারুণ সুযোগ ছিল মারুফের সামনে। কিন্তু বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। ৫৯ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে জাপানিজ ফুটবলার তেতসুওয়াকি বল বাড়িয়ে দেন স্বদেশী ফুটবলার ছোমাকে। তবে পোস্টে শট নিতে একটু বেশি সময় নিয়ে ফেলেন এই ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিলেও ফিস্ট করে বল ফিরিয়ে দেন সেনাবাহিনীর গোলরক্ষক। ৬৪ মিনিটে সতীর্থর কাছ থেকে বক্সের ডান প্রান্তে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন রঞ্জু শিকদার। কিন্তু বল পোস্টে রাখতে পারেননি। পরের মিনিটেই সুযোগ এসেছিল মুক্তিরও। আইমানের দূরপাল্লার কিক ছিল বেশ দুর্বল। যে কারণে বল গ্রিপে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি গোলরক্ষক আলমগীরের। ৭৪ মিনিটে ছোমাকে বক্সে ফাউল করেন সেনাবাহিনীর মাহবুব। পেনাল্টি পায় মুক্তিযোদ্ধা। তবে গোল ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন টেটসওয়াকি। তার স্পটকিক চলে যায় বারের উপর দিয়ে। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি পায় সেনাবাহিনীও। তবে মেহেদী হাসানের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক রাজিব। ৮৮ মিনিটে সামিউলের গোলে ম্যাচে ফিরে সেনাবাহিনী (১-১)। শেষ মুহূর্তে এসে লাল কার্ড দেখেন সেনাবাহিনীর মাহবুব। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়।
×