ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পারিবারিক সুশিক্ষা

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০২১

পারিবারিক সুশিক্ষা

কষ্ট-ক্লেশ আর যন্ত্রণার আরেক নাম বিয়োগ-বিচ্ছেদ। তা যদি কোন পবিত্র সম্পর্কের মাঝে ঘটে যায়, তবে তার ব্যথা হয় শত সহ¯্রগুণ বেশি। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ একটি সম্পর্কের অবসান হলেও তাদের সন্তানের কাছে তা লাখোগুণ বেশি যন্ত্রণাদায়ক। যন্ত্রণার ধারায় এ সন্তানরা হয়ে পড়ে ঠিকানাবিহীন। মাতৃ স্নেহ ও পিতৃ আদর থেকে সন্তানরা চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হয়। এরূপ সন্তানরা হয়ে যায় খারাপ, চলে যায় কুপথে। সে কুপথের ধারায় সমাজ হয় কলঙ্কিত। ডিজিটাল যুগের, বর্তমান সময়ে বিবাহবিচ্ছেদ সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে ও শোনা যাচ্ছে। শিক্ষা-সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তত ক্ষীণ হচ্ছে। যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় কেন এরূপ হচ্ছে? তবে আমি উত্তর দিব প্রযুক্তির অপব্যবহার ও পারিবারিকভাবে সঠিক শিক্ষা না থাকার কারণেই এরূপ হচ্ছে। মা-বাবা তাদের সন্তানকে উপযুক্ত বয়সে যথাযথ শিক্ষা দিতে অক্ষম হচ্ছে বিধায় সন্তান প্রাপ্ত বয়সে সঠিক পথে থাকতে পারছে না। অসময়ে প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের ফলেও তরুণ সমাজ অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বিবাহবিচ্ছেদ ও তালাকের প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে এবং সমাজ কলুষিত হচ্ছে। এ ব্যাধি থেকে উত্তরণের জন্য পারিবারিক সুশিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা সমাজের প্রত্যেক স্তরে চালু রাখতে হবে। সবাইকে আরও বেশি মানবিক হতে হবে। চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ থেকে
×