ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা কাপ ফুটবল, বারিধারার হার ১-০ গোলে, জয় পেয়েছে শেখ জামাল

কষ্টার্জিত জয়ে শেখ রাসেলের শুভসূচনা

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ২৮ নভেম্বর ২০২১

কষ্টার্জিত জয়ে শেখ রাসেলের শুভসূচনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শনিবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মৌসুম-সূচক ফুটবল আসর স্বাধীনতা কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ২০১৩ সালের শিরোপাধারী ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র কষ্টার্জিত জয়ে করেছে শুভসূচনা। তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে উত্তর বারিধারা ক্লাবকে। ‘বি’ গ্রুপের এই খেলার প্রথমার্ধের স্কোর ছিল গোলশূন্য। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। ম্যাচে বারিধারা হারলেও তারা চমৎকার খেলেছে। চেষ্টা করেছে সমানতালে লড়াই করার। ম্যাচের পুরোটা সময়ই তারা আক্রমণাতাœক খেলে। বারিধারার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মোস্তফা মাহমুদ। প্লেয়ার লিস্টে তার নামের পাশে ‘ফরোয়ার্ড’ লেখা থাকলেও তার কোন নির্দিষ্ট প্লেয়িং পজিশন ছিল না। মাঠ জুড়েই খেলেছেন। চোখ ধাঁধানো ড্রিবলিং করেছেন। তার গতি পজিশন সেন্স, পাসিং ও গতি ছিল দেখার মতো। কিন্তু তাকে সেভাবে কেউ সহায়তা না করায় দুর্ভাগ্যবশত কোন গোল করতে পারেননি। ভাল খেলেছেন বারিধারার গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম খান-ও। অবিশ^াস্য দক্ষতায় কমপক্ষে চারটি নিশ্চিত গোল আটকে দেন। প্রথমার্ধে রাসেলকে কোন গোল করতে না দিয়ে প্রশংসা কুড়ায় বারিধারা। যেখানে রাসেলের ছিল তিন বিদেশী ফুটবলার, সেখানে মোস্তফা ছাড়া বারিধারার কোন বিদেশী ফুটবলার মাঠে নামায়নি। তারপরও নিজেদের চেয়ে কয়েকগুণ শক্তিশালী রাসেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে তারা। বারিধারা-রাসেলের সবশেষ দুই দেখায় একটি করে জয় ছিল দুই দলের। গত মৌসুমের লীগের প্রথম লেগে বারিধারার কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল রাসেল। তবে দ্বিতীয় লেগে ৫-১ গোলে জিতেছিল রাসেল। তিন বছর পর আবারও মাঠে গড়াল বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে অনিয়মিত এই টুর্নামেন্ট। ৫৮ মিনিটে প্রতিপক্ষ দলের রক্ষণভাগের ভুলে কাক্সিক্ষত গোল পেয়ে যায় শেখ রাসেল। বারিধারার সীমানার বা প্রান্ত থেকে বল নিয়ে তীব্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে বারিধারার আগুয়ান গোলরক্ষক সাইফুলের মাথার ওপর বক্সে বল ‘চিপ’ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইল রুটি। বলা যায় গোলটা তিনিই বানিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি যে পাস দিয়েছিলেন সেটি ছিল প্রায় গোল। প্রয়োজন ছিল শুধু ফাইনাল টাচের। সেখানে বারিধারার তিন ডিফেন্ডারও ছিলেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তারা থামাতে পারেননি তরুণ এই ফরোয়ার্ডকে। আলতো টোকায় বলকে গোললাইন পার করে দেন মান্নাফ রাব্বি (১-০)। ৬৯ মিনিটে রাসেলের জুয়েলের কর্নার জটলার মধ্যে থেকে হেড নেন আইতন। বলের ফ্লাইট মিস করেন গোলরক্ষক। কিন্তু গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করে আইতনের নিশ্চিত গোলটি ঠেকিয়ে দেন বারিধারার ডিফেন্ডার জুবায়ের। ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে রাসেলকে চাপে ফেলতে চেষ্টা করে বারিধারা। রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণও করতে থাকে তারা। ৭৭ মিনিটে সতীর্থর থ্রু থেকে বল পেয়ে রাসেলের বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন আকবর। কিন্তু তার ডান পায়ের শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়া খেলা শেষের বাঁমি বাজালে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে মাঠ ছাড়ে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। টুর্নামেন্ট শুরু হবার আগেই অবশ্য একবার সূচী পরিবর্তন করে ফেলেছে বাফুফে। নতুন সূচী অনুযায়ী ‘সি’ গ্রুপের দুটি ম্যাচ হবে। বিকেল ৪টায় মোহামেডান মুক্তিযোদ্ধা লড়াই। রাতের ম্যাচে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব ৩-০ গোলে হারায় বিমানবাহিনীকে। গোল করেন জন ওতাবেক, সলোমন কিং ও সোহানুর রহমান।
×