অনলাইন ডেস্ক ॥ আগামী ২৮ নবেম্বর তৃতীয় ধাপে দেশের ১ হাজার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে দেশের ১০টি পৌরসভায়ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠকে সিইসি বলেছেন, আমরা প্রয়োজনে বাহিনী ও ম্যাজিট্রেটের সংখ্যা বাড়াবো যাতে করে সব ধরনের সহিংসতা ঠেকানো যায়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে আজ এ বৈঠক শুরু হয়েছে। অন্য চার কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
বৈঠকের শুরুতে সিইসি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, গত দু ধাপে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও প্রাণহানী হয়েছে। এবারে তৃতীয় ধাপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে, এলাকায় টহল বাড়াতে হবে। আমরা প্রয়োজনে বাহিনী ও ম্যাজিট্রেটের সংখ্যা বাড়াবো যাতে করে সব ধরনের সহিংসতা ঠেকানো যায়।
তিনি প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নমনীয় মনোভাব পোষন করেন, কেননা, ভোটের আগে পরে প্রচার, প্রভাব বিস্তার, যে কোনো উপায়ে জয়ী হবার জন্য তারা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন। এ সময় তিনি কেন্দ্র দখল বা সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ভোট বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে গাফিলতি না করার নির্দশনা দেন।
বৈঠকে বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, বিভন্ন এলাকার ডিআইজি সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা তাদের সমস্যা তুলে ধরছেন।
ইতিমধ্যে বিগত দু’ ধাপের ভোটে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে এতে প্রায় ৩০ জন নাগরিক মারা যান। যার ফলে পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোরভাবে মোকাবিলার নির্দেশনা দিবে বলে জানিয়েছে ইসি।