দেশে প্রতি চারজনে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যা। প্রতি চারজনে একজন স্ট্রোক আক্রান্ত হন জানিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগের অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। এই রোগে আক্রান্তদের ১৭ শতাংশই মানসিক চাপের শিকার। বুধবার সকালে ঢামেকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এসব তথ্য জানান নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হিসেবেও আমরা দেখি। পরিসংখ্যান বলছে, স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশেরই ভুঁড়ি রয়েছে। ২৩ শতাংশই জাঙ্ক ফুডে আসক্ত। এছাড়াও কোলেস্টেরল এইচডিএল কম থাকলেও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ২৭ শতাংশ। আমরা দেখে থাকি, প্রতি ১০০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৩৬ জনই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তিনি আরও বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে বা লক্ষণ দেখা মাত্রই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা যায়। বিশ্বব্যাপী ৮ কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গেলে ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে। একে স্ট্রোক বলা হয়। স্ট্রোক দুই প্রকার। একটিকে বলে ইসকেমিক স্ট্রোক। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। সাধারণত রক্তনালীর ভেতর জমাট বাঁধা রক্তপি- এ সমস্যা করে থাকে। মোট স্ট্রোকের ৮০ শতাংশই এ ধরনের স্ট্রোক। অপরটি হলো হেমোরেজিক স্ট্রোক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে এটি দেখা যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ মোঃ টিটো মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক, ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ শফিকুল আলম চৌধুরী।