ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এসডি সুব্রত

কঠোর পদক্ষেপ নিন

প্রকাশিত: ২১:১৯, ২৮ অক্টোবর ২০২১

কঠোর পদক্ষেপ নিন

মহাসড়কে অত্যধিক গতির কারণে প্রায়ই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য এক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত বাস ট্রাকের ধাক্কায় ও চাপায় অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। টিভি চ্যানেল খুললেই প্রতিদিন হেডলাইনে বা স্ক্রলে দেখা যায় বাসের ধাক্কায়, ট্রাকের ধাক্কায়, গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অথবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। তার অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত গতি, বেপরোয়া চালনা। এছাড়া মোটরসাইকেল চালনায় সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকা, সড়ক আইন না মানা কিংবা না জানা, লাইসেন্স না থাকা, এবং রাজনৈতিক পরিচয়সহ বিভিন্নভাবে আইন ভাঙার কারণে এবং ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে ঘটছে দুর্ঘটনা। উঠতি বয়সের তরুণদের অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণের অভাবও এক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী । প্রায়শই শহরের রাস্তায় কিংবা গলিতে বিকট ও বিরক্তিকর শব্দ তুলে বেপরোয়া গতিতে বিনা প্রয়োজনে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায় যা দুর্ঘটনা ও শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। এক হিসেবে দেখা যায় বিভিন্ন জেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে যেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১৬৮ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বর্তমানে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে মোটরসাইকেল আর প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বেশি। মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া কিশোর-তরুণরা একদমই ট্রাফিক আইন জানে না কিংবা মানে না। মোটরসাইকেল বিক্রির ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম আছে সেগুলো মানা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক মনিটরিং না থাকা, ট্রাফিক আইন ভাঙলে মোটরসাইকেল চালককে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে অবহেলাই অনেক দুর্ঘটনার কারণ। অনেক তরুণ মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যস্ত রাস্তায় বাস-ট্রাক কিংবা প্রাইভেট কারের ফাঁক-ফোকর গলে ছুটতে থাকে। খোদ রাজধানীতেই মোটরসাইকেল চালকগণ বিভিন্ন ফাঁক ফোকর গলিয়ে অত্যন্ত কি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। এছাড়া সহজে কমদামে চোরাই গাড়ি পাওয়ার কারণে অনেক তরুণ অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার কারণ হেলমেট না পরা কিংবা নি¤œমানের হেলমেট ব্যবহার। মোটরসাইকেল চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির সঠিক কাগজ, গতিসীমা নির্ধারণ করা ও আইন মান্য করতে বাধ্য করা, বিনা প্রয়োজনে মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি না দেয়া, ট্রাফিক আইনের কঠোর এবং চোরাই গাড়ি বিক্রি বন্ধ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শাল্লা, সুনামগঞ্জ থেকে
×