ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় ‘ঝরে পড়া’ শিক্ষার্থী বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২৬ অক্টোবর ২০২১

করোনায় ‘ঝরে পড়া’ শিক্ষার্থী বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা মহামারীতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত আকারে খুলেছে স্কুলগুলো। কিন্তু স্কুল চালুর পর দেখা যাচ্ছে ‘ঝরে পড়া’ শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ঝরে পড়ার মূলে রয়েছে বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম। মহামারীর সময় প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার। গত দুই বছরে শিশুশ্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিকভাবে এই সংখ্যা ৮৬ মিলিয়নেও পৌঁছাতে পারে। রবিবার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) পক্ষ থেকে ‘অতিমারী-উত্তর শিশুদের স্কুলে ফেরা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংলাপে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশের কোর গ্রুপ সদস্য শাহীন আনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারীর ফলে গত বছরের মার্চ মাস থেকে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি বিবেচনায় গত সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত আকারে স্কুলগুলো খোলা হয়েছে। কিন্তু স্কুল খোলার পর দেখা যাচ্ছে ‘ঝরে পড়া’ শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। সংলাপে সম্মানিত আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপ-সচিব (বিদ্যালয়) নাজমা শেখ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মোঃ বেলাল হোসাইনসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সম্পৃক্ত সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যক্তিরা।
×