ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি সাঁকোই ১৩ গ্রামের মানুষের ভরসা

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১৭ অক্টোবর ২০২১

স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি সাঁকোই ১৩ গ্রামের মানুষের ভরসা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নে ইছামতী নদী পারাপারের জন্য স্থানীয় লোকজনদের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাঁশের সাঁকোটি এখন ১৩টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার ১২টি এবং সদর উপজেলার একটি গ্রামের মানুষ। কিন্তু এরপরও চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচলে করতে হচ্ছে তাদের। তাই বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে জরুরীভিত্তিতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি এই তিন উপজেলার ৫০ হাজার মানুষের। শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রানিরবন্দর হাট-সংলগ্ন ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে। বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। এ ব্যাপারে নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, পাকা সেতুর ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। এটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করছি। ডিমলার তিন গ্রামের দুঃখ সিংগাহারা সেতু স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, নীলফামারীর ডিমলার সিংগাহারা নদীর সেতুর পিলার দেবে গেছে। যেকোন মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে তিন গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। শনিবার সিংপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব সিং জানান, ১৯৯৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। গত পাঁচ বছর আগেই সেতুটি নড়বড়ে হয়ে যায়। তবু সংস্কার হয়নি। সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গেছে অনেক আগেই। সম্প্রতি মাঝের দুটি পিলার দেবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী সফিউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ওই স্থানে নতুন সেতু তৈরির জন্য বন্যা ও দুর্যোগ প্রশমন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখন সময়ের অপেক্ষা। শেরপুর সীমান্তে একটি সেতুর অভাবে অন্তহীন দুর্ভোগ নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, ‘দেশ স্বাধীন অইলো। আমগোর গ্রামডা দুই ভাগ অইলো। অর্ধেক ভারতে। আর অর্ধেক আমরা বাংলাদেশে। ৫০ বছর অইলো। অহনও আমরা আগের মতোই। আমগোর দুঃখ-কষ্ট কেউ দেহে না। এডা সেতুর লাইগা আমরা কত নেতা, মেম্বার, চেয়ারম্যানগোরে কইলাম। কেউ দিলো না। এডার লাইগা মেলা কষ্ট অয়’। সরেজমিনে গেলে কথা হয় স্থানীয় কৃষক প্রেমানন্দ কোচের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোট আইলে, ভোটের লাইগা অনেকে আয়ে। মেলা কতা কয়। সেতু দিবো। ভোট অইলে আর আয়ে না। এই গ্রামেরই নারী নাইবালী কোচ। তিনি বলেন, বেডা মানুষরা কাপড় তুইলা যাইতে পারে। আমরাতো কাপড় ভিজাইয়া যাই। এই সেতু অইলে আমগোর মেলা উপকার অইবো। এ ব্যাপারে কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আমারতো সময় শেষ। সেখানে প্রশাসনের লোকজনসহ বিজিবির সদস্যরাও চলাচল করেন। বর্ষা এলে চলাচলে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
×