নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি জনমুখী করতে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে কিশোরগঞ্জে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শোলাকিয়ায় বিট অফিসার ও থানার ওসির মোবাইল নম্বর-সম্বলিত স্টিকার মানুষের বাড়ি বাড়ি লাগিয়ে দেয়ার মাধ্যমে জেলায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)।
‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ এ স্লোগানে জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৮টি ইউনিয়ন ও ৮টি পৌরসভায় বিট পুলিশের মোট ১১৪টি বিট স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বিটে একজন করে উপ-পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করবেন। এখন থেকে ছোটখাটো ঘটনায় থানায় যেতে হবে না সেবাগ্রহীতাদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ যে কোনো সেবা পেতে প্রতিটি ঘরের দরজায় লাগানো স্টিকারে দেওয়া নম্বরে কল দিলেই মিলবে পুলিশি সেবা।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন পৌরসভার ৪, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১৪নং বিট পুলিশিংয়ের স্টিকার বিতরণ উদ্বোধনকালে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তারাই মানুষের কাছে তৃণমূল পর্যায়ে সেবা নিয়ে যাবেন। ওয়ার্ড ও শহরের মহল্লাগুলোকে বিটে বিভক্ত করে একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে এলাকার আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখবেন ও প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন।
এর মাধ্যমে সমাজ থেকে মাদক, ইভটিজিং, চুরি, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কাজ কমে আসবে। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্য সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমরা বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশি সেবা নিয়ে জনগণের আরও কাছে যেতে চাই। মানুষের হৃদয় জয় করতে চাই। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি স্বনির্ভর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
বিট পুলিশিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইব্রাহীম, সদর মডেল থানার ওসি মোঃ আবু বকর সিদ্দিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
