ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

তৈয়ব হাসানের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা যাদের প্রতি ...

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১২ জুন ২০২১

তৈয়ব হাসানের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা যাদের প্রতি ...

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জার্সির মূল্য ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা! সত্যিই অবিশ্বাস্য! সেটাও আবার একজন রেফারির জার্সি! জার্সিটি হলো বাংলাদেশের কিংবদন্তী রেফারি তৈয়ব হাসানের, যিনি বাংলাদেশের রেফারিং ইতিহাসে কয়েকটি রেকর্ডেরও অধিকারী। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় (১৮ বছর) আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারী হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তিনিই সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন (১০০+), দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো এ্যাওয়ার্ড), এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল ম্যাচে (ভারত বনাম আফগানিস্তান, ২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। তৈয়ব ২০১৩ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রেফারি হিসেবে যে জার্সিটি পরে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেই রেফারি জর্সিটি গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে নিলামের ঘোষণা দেন নিলাম সংস্থা অকশন ফোর এ্যাকশনের মাধ্যমে। সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু সেটা কিনে নেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। তৈয়ব তঁর সুদীর্ঘ ৩৩ বছরের রেফারিং জীবনের স্মরণীয় জার্সি নিলামের অর্থ করোনা ক্ষতিগ্রস্ত, অসচ্ছ্বল, দুঃস্থ রেফারি, খেলোয়াড়, সংগঠক, নিকট প্রতিবেশী ও স্বজনদেরকে বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করেছেন। যার মাধ্যমে তিন শতাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছে। তৈয়বকে এই কাজে সহায়তা করেছে মোট ১২টি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান। করোনা দুর্যোগে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও স্বয়ং তাকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেন। নাছিম ফারুক খান মিঠু এবং ১২ সংস্থা-প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তৈয়ব। তৈয়ব ফিফা রেফারি হিসেবে প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেন ১৯৯৯ সালে। পরবর্তীতে ফিফার এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়ে ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়িং, অলিম্পিক কোয়ালিফায়িং, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বিভিন্ন রাউন্ড টুর্নামেন্টসহ শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় তিনি এশিয়ার প্রায় সব দেশে শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। রেফারিংয়ে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনি এএফসি, বাফুফে, সাতক্ষীরা জেলা জন সমিতি, সোনালী অতীত ক্লাব, বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোটস জার্নালিস্টস এ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেরা রেফারির সম্মাননা পেয়েছেন। এএফসির তৎকালীন সভাপতি মোহাম্মদ বিন হাম্মাম ভালো রেফারিংয়ের স্বীকৃতি হিসেবে প্রশংসাপত্র দিয়েছিলেন তৈয়বকে। ফিফার এলিটে ঢুকে কখনও বাদ পড়েননি তৈয়ব। বাংলাদেশের জেড আলম একসময় সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে রেফারিং করেছিলেন। তাঁকে ছাড়িয়ে যান তৈয়ব হাসান।
×