ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

নব্য রাজাকাররা গ্রেফতার হয় না কেন

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৮ মার্চ ২০২১

নব্য রাজাকাররা গ্রেফতার হয় না কেন

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চেতনার- অসাম্প্রদায়িকতার ওপর আর কতবার আঘাত করবে বার বার জন্ম নেয়া এই নব্য ঘৃণ্য রাজাকার মামুনুল-বাবুনগরীর দল। এই কি উন্নয়নশীল দেশের নমুনা, যেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠী মুসলমান নামের ধর্মান্ধ একদল জিহাদি মোল্লার চরম অমানবিক হামলার শিকার হয়? এই তথ্য গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে ছিল যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপনে কোন এক ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হবে! বুধবার ভোরে যখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের করোনা আইসিইউতে আগুন লাগে বা লাগানো হয়, তৎক্ষণাৎ আমাদের মনে হয়েছে এটা ঐ নাশকতামূলক ঘটনার অংশ হতে পারে! বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ ও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের দশ দিনব্যাপী উৎসবটি প্রায় শেষ হয়েছে- এটিকে কিছুটা ম্লান করেছে আইসিইউর কয়েক রোগীর মৃত্যু। তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে হাই ফ্লো অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হলো না কেন জানি না। তবে এটি পেলে হয়তো ঐ রোগীদের মৃত্যু হতো না বলে মনে হয়। এই নব্য রাজাকাররা কিন্তু পুরোপুরি ’৭১-এ দেখা সেই জামায়াতের জন্ম দেয়া রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের মতোই একই আচরণ প্রদর্শন করছে! এখন দেখা যাচ্ছে- এরা টার্গেট করেছে প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী শিক্ষিত পেশাজীবীদের এবং বাঙালী সংস্কৃতিকে। এরপর বাঙালী সংস্কৃতির অংশ ভাস্কর্যকে টার্গেট করতে গিয়ে তারা যখন বাঙালী জাতির জনক, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকেও টার্গেট করতে একটুও ভীত হয়নি, সে কারণে তারা সাহসী হয়ে বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করেছে! পাঠক নিশ্চয়ই দেখেছেন তারা অকুতোভয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে, বুড়িগঙ্গায় ভাস্কর্য ফেলে দেবার হুমকি দিয়েছে, আবার একইভাবে মন্দিরের দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর করে প্রাণহীন মাটির দেব-দেবীর ওপর তাদের কাপুরুষোচিত শক্তিমত্তা ও ঘৃণা প্রকাশ করেছে! ’৭১-এ, ’৭৫-এ, ২০০১-এ, ২০০৯-এ, ২০১৩-এ ও বর্তমানে খেয়াল করলে দেখা যায়- পুরনো, নব্য, জিহাদি মোল্লা, ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের টার্গেট সেই একই ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গ এবং বাঙালী সংস্কৃতির চর্চাকারী প্রগতিশীল ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী! এরাই এ দেশের পুরনো শকুন যারা বার বার খামছে ধরেছে অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবীদের বুক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার বুক, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বুক, জাতীয় চার নেতার বুক, বাংলার মাটি দিয়ে তৈরি দেব-দেবী, যাদের পুজো হয় বাংলার ফুল-পাতা-ধান-দূর্বাঘাস-ফল দিয়ে, যে মাটিতে কবর দেয়ার জন্য বন্দী বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী শাসককে বলে রেখেছিলেন- সেই মাতৃভূমির মাটিকে পুজো করে যে হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের অস্তিত্বকে খামচে ধরেছে! যেখানে লালন তার পরম ধর্মনিরপেক্ষ সঙ্গীতের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে বাঙালীকে সংস্কৃতির সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে গিয়েছেন, যেখানে শাহ আবদুল করিম জানাচ্ছেন হিন্দু মুসলিমের মিলনে সব উৎসবে আগে, শৈশবে কেমন আনন্দময় ছিল, সেখানে হেফাজতের জিহাদি নেতা মামুনুলের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের ওপর করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে হিন্দু তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ! আর ঘৃণা প্রচারক মামুনুল ও বাবুনগরী (এ অদ্ভুত নামটির অর্থ কি?)’র ঘৃণার আগুনে বাড়িঘর, মন্দির ধ্বংস হলো, সম্পদ লুট হলো- অথচ তাদের গ্রেফতার করা হলো না কেন? এরা হুকুমের আসামি হিসেবে ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী। অন্যদিকে ইউটিউবে নারী, ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি, হিন্দু, বাঙালী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচারকারী হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও অপরাধী, এ সত্য সরকারপ্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ-র‌্যাব প্রধানদের স্বীকার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী এবং বাঙালী সংস্কৃতিবিরোধী এবং বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির বিরোধীরা হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রের ও জাতির সেই অঙ্গ যাতে পচন ধরেছে। এটিকে কেটে বাদ না দেয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ ও বাঙালী সুস্থ স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিরীহ সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, বাউল গায়ককে গ্রেফতার করতে বিন্দুমাত্র সময় ক্ষেপণ করে না, সেখানে এই গু-ামি-ভ-ামি করা, ঘৃণা প্রচারকারীদের এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? আইনের প্রয়োগ নিয়ে আর যাই হোক দ্বি-চারিতা করা থেকে রাষ্ট্র যন্ত্রকে বিরত থাকতে হবে। উন্নয়নশীল দেশে আইনের শাসন-সুশাসন প্রতিষ্ঠার শর্তই হচ্ছে- দেশে সংখ্যালঘু, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী এবং বাঙালী সংস্কৃতির চর্চাকারীদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে কিনা তার প্রমাণ। এখন কথা হচ্ছে, ’৭১-এর জামায়াত যেমন বাঙালীর ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে পাকিস্তানী শাসকের ধর্ম না মেনে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে, তেমনি হেফাজত, বর্তমানে যেটি মধ্যপন্থী শফীহীন, বরং উগ্র মামুনুল-বাবুনগরী পন্থীর কবজায় চলে গেছে, যারা জামায়াতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। মৌলানা শফীর অবস্থান ছিল হাটহাজারীর মাদ্রাসাভিত্তিক। শাপলা চত্বরের সমাবেশ সংঘটিত করার নেপথ্যে ছিল উগ্র জামায়াতপন্থী মামুনুল গোষ্ঠী এবং বিএনপির খালেদা-তারেক ও অন্যান্য জঙ্গী, জিহাদি গোষ্ঠী, যারা আওয়ামী লীগ সরকার পতনের লক্ষ্যে এ সমাবেশকে তাদের ক্যাডার দিয়ে সহিংস তা-বে পরিণত করেছিল। এর জন্য কত কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, তাও সে সময়ে প্রকাশ পায়! এক শ্রেণীর মোল্লা-মৌলবী অর্থের কাছে নতজানু হবে না, এটি একেবারেই সত্য নয়। তারাও বাস্তবকে মেনে চলা লোভী মানুষ। নতুবা তারা নিজেরা খুব ভাল করেই জানে যে, প্রগতিশীল ব্যক্তি, বিজ্ঞানমনস্ক, ব্লগার, হিন্দু হত্যা করে বেহেশতে যাওয়ার কথাটি পুরোপুরি মিথ্যা। সে জন্য, পরের বিশেষ করে উচ্চবিত্তের কাব্য-সাহিত্য না পড়া মানুষের মানবিক ধর্ম যা লালন-শাহ্, আব্দুল করিম তথা সব বাউল গোষ্ঠী বহু কাল আগে থেকে প্রচার করে আসছে, সে সম্পর্কে অজ্ঞ ছেলেদের জঙ্গী-জিহাদি বাদে দীক্ষিত করেছে খুব সহজে। কিন্তু নিজেদের পুত্রদের এই দীক্ষা থেকে দূরে রেখেছে। এই হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ এবং স্বদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসবকে ম্লান করার লক্ষ্যে সিলেটের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর খুবই পরিকল্পিত হামলা করেছে! কথা হচ্ছে, তারা ঐ গ্রামে আগের দিন মুরব্বি- প্রশাসনসহ সভা করেছে! অথচ পরদিন তারা প্রধানত হেফাজত নেতা মামুনুল-বাবুনগরীর উস্কানিমূলক সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে উত্তেজিত কয়েক শত গু-া-ক্যাডার বাজারে জমায়েত হয়। সবাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর তারা আক্রমণ করে, যা হিন্দু সম্প্রদায় আঁচ করে বাড়ি, ঘর, টাকা-পয়সা সব কিছু ফেলে প্রাণ বাঁচাতে অন্য গ্রামে সরে যায়। এর মধ্যে পুলিশ বা প্রশাসন ঐ আক্রমণ-হামলা বন্ধ করবার যথেষ্ট সময় পাওয়া সত্ত্বেও আসেনি। তদুপরি এলাকার আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুব লীগের কোন নেতা-কর্মী-জনপ্রতিনিধি, যাদের হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা করবার রাজনৈতিক, সামাজিক দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, তাদের এগিয়ে আসতে না দেখে বুঝতে পারছি এই প্রজন্মের আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ স্বার্থসর্বস্ব হয়ে গেছে। ওরা পদ-পদবিকে অর্থ-ক্ষমতার উৎস ধরে নিয়ে কাজ করছে এবং ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতি-সমালোচনা হলে তখন ক্ষমতা প্রয়োগ করে! তাছাড়া আওয়ামী লীগর মধ্যে জামায়াত, হেফাজত, বিএনপিপন্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তারও অনেক প্রমাণ আছে। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা যা বাঙালীর সাহিত্য-কাব্য-সঙ্গীতসহ সংস্কৃতির প্রাণ, বঙ্গবন্ধুর সেই অসাধারণ ধারণা ও বোধটি থেকে এই প্রজন্মের রাজনীতি করা তরুণদের অনেক দূরে অবস্থান করতে দেখছি, যা আমাদের চরম হতাশ করেছে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সৈনিকরা কোথায়? তারা আছে, তবে দলে তাদের অবস্থান সম্ভবত খুব দুর্বল অবশ্যই তারা পদ/পদবি পায় না। হয়তো তারা আছে বিজ্ঞানমনস্ক ব্লগার, প্রযুক্তি বিদদের মধ্যে প্রগতিশীল কবি-সাহিত্যিক-শিক্ষক-তরুণ, সঙ্গীতসাধক-শিল্পী, চিত্রকরদের মধ্যে। জানি না, মানবাধিকার কমিশন শাল্লার এই সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে এর মধ্যেই কিন্তু একজন হিন্দু বিধবাকে হত্যা করা হয়েছে, অবশ্যই তার জমিজমা দখলের উদ্দেশ্যে! এ ছাড়াও এক হিন্দু মা ও বালিকা কন্যার হত্যাকা- আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এসব ঘটনায় প্রতিবেশী ভূমি লোভী মুসলিমদের ভূমিকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রশাসন-পুলিশ কর্মকর্তা এই হত্যাকা- দুটির সুষ্ঠু অনুসন্ধান শুরু করেছে কি? তাহলে কি এই দুই নব্য রাজাকারের বিরুদ্ধে আমাদের মতো কোন সুশীল গোষ্ঠীকে মামলা করতে এগিয়ে আসতে হবে? বঙ্গবন্ধুর প্রিয় অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মভিত্তিক- রাজনীতি মুক্ত সব ধর্মমতের মানুষের জন্য শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলা গঠনের অন্যতম শর্ত- রাজাকার জিহাদি উগ্র মতবাদ-মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজটি কি আমাদের শুরু করতে হবে? জানতে পারলাম লন্ডন থেকে মোটা অর্থ নিয়ে এক উগ্র মোল্লা শোয়েব আহমদ শাল্লা এলাকায় এসেছে একটি উদ্দেশ্য নিয়ে। জনগণকে মনে রাখতে হবে- জামায়াত বা হেফাজত বিএনপি নেতা-নেত্রীর প্রত্যক্ষ সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা না পেলে কখনোই এককভাবে কোন তা-ব, সেটি শাপলা চত্বর হোক বা জঙ্গী বাংলা ভাই-আবদুর রহমান থেকে পরের জেএমবি, হিযবুত তাহরীর, আনসার আল ইসলাম ইত্যাদি জঙ্গী দলের জন্ম দিয়ে দেশ-জাতি-মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী কর্মকা- পরিচালনা করতে কখনই পারত না। সুতরাং মামুনুল, বাবুনগরী, শোয়েব মোল্লারা যখন মাঠে নামে, তখন বুঝতে হবে এদের নাড়িয়েছে লন্ডনের পলাতক সাজাপ্রাপ্ত নেতার অর্থ ও খেলার নির্দেশ। এবার সুনির্দিষ্টভাবে বঙ্গবন্ধুকে, তাঁর অবর্তমানে তাঁর ভাস্কর্যকে, তাঁর শতবর্ষ জন্ম উৎসবকে এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তারেকের তল্পিবাহক, তার সুতায় নাচবে না এই মোল্লা পুতুলেরা, তা হতে পারে না। শোয়েব মোল্লার খায়েশ, সে হিন্দুদের বিতাড়িত করে শাল্লা থেকে জনপ্রতিনিধি হবে! তাহলে, তাদের ও হেফাজতের উদ্দেশ্য একে একে দুই হয়ে মিলে যায়। এর মধ্যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুতের জঙ্গীরা দেয়াল লিখনে, এসএমএস-এ, ফেসবুকে, ইউটিউবে সেই পনেরো শ’ বছরের প্রাচীন খেলাফত রাষ্ট্রের ধুয়া তুলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চেষ্টা করছে। ফেসবুক, ইউটিউব, এসএমএস সবই তো ডিজিটাল অপরাধ, যা ঘটেছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে! সরকার উৎখাত করে খেলাফত রাষ্ট্র গঠনের ডাক তো বড় ধরনের অপরাধ। এরা গ্রেফতার হবে কি? সর্বোপরি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির বছরে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ ও অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে সরকারকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী রাষ্ট্র গঠন করতে আরও অনেক কিছু করতে হবে। আশা করি সরকার দ্রুত এ বিষয়টি সুরাহা করবে। সবশেষে, অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের আকস্মিক প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত আমরা। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার একনিষ্ঠার বাতাবরণে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক জনকণ্ঠে আমার রচনাগুলো প্রকাশ করার জন্য তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। লেখক : শিক্ষাবিদ
×