মানিলন্ডারিং মামলায় ফরিদপুরে আলোচিত দুই ভাইয়ের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি ॥ অর্থ পাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ওই দুই ভাইসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট পাঁচজনের ৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা জব্দ করার আদেশ দেয় আদালত। ওই দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রোক করারও আদেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতের এ আদেশের ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সিআইডি দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সময় অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি জব্দ করে জেলার পুলিশের জিম্মায় দিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী-২০১৫-এর ৪(২) ধারায় এ মামলা করা হয়। গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ী সড়কে। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগত আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। গত বছরের ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলা আওয়ামী লীগের বাড়িতে হামলা মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরের আফসানা মঞ্জিলসহ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে সাজ্জাদ হোসেন, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসানসহ নয়জনকে গ্রেফতার করে।