ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু শনিবার

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু শনিবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিশুদের সময়টা এখন বড্ড বৈরী। মহামারীতে বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় খেলতে যাওয়া বারণ। বিধিনিষেধের বেড়াজালের এমন বন্দী সময়ে সোনামণিদের হন্য অনুষ্ঠিত হবে চমৎকার এক আয়োজন। মিলবে দেশ-বিদেশের সিনেমা দেখার অবারিত সুযোগ। উন্মুক্ত আয়োজনে ছবি দেখতে লাগবে না কোন দর্শনী কিংবা টিকেট। প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশসহ ৩৭ দেশের ১৭৯ শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সেই সঙ্গে ছবি নির্মাণে আগ্রহী শিশু-কিশোরদের জন্য থাকবে নির্মাণ, স্ক্রিপ্ট রাইটিংসহ বিভিন্ন কর্মশালা। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে ছবি দেখার এ উৎসব। আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ছোটদের ছবি দেখার আয়োজন আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসব আয়োজক চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, শিশুদের দেশ-বিদেশের সুন্দর ছবি দেখানোর লক্ষ্য নিয়ে এই উৎসব শুরু করেছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে বড়দের পরিবর্তে শিশু-কিশোররাই এ উৎসব আয়োজনের দায়িত্বটি কাঁদে তুলে নেয়। এখন সেটা তারাই পরিচালনা করছে এবং নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ে বড় কোন শিশু চলচ্চিত্র উৎসব আর আছে কিনা আমার জানা নেই। চলচ্চিত্র একটি সুন্দর মাধ্যমÑশিশুদের যতই দেখানো হবে ততই ভাল। উৎসব আয়োজনের আর্থিক সঙ্কট প্রসঙ্গে ফারিহা জান্নাত মিম বলেন, শিশুদের বিশাল পরিসরের এ আয়োজনে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পৃষ্ঠপোষকতা দিতে আগ্রহী হয় না। তাই বরাবরের মতো এবারও সরকারী অনুদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অনুদানের আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করছি শীঘ্রই এই অনুদান পাওয়া যাবে। এবারের উৎসবে রাজধানীর মোট তিনটি ভেন্যুর চারটি মিলনায়তনে ৩৭ দেশের ১৭৯ শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরদিন থেকে গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন এবং শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ও চিত্রশালা মিলনায়তনে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় চারটি পৃথক সময়সূচীতে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। উৎসবের সব প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। সিনেমা দেখার জন্য কোন ধরনের প্রবেশমূল্য না থাকলেও এ বছর মাস্ক পরিধানকে চলচ্চিত্র উৎসবের টিকেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি করে ফাঁকা রেখে প্রদর্শিত হবে উৎসবের চলচ্চিত্রসমূহ। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশী শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে জমা পড়া ৬১ চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পাঁচটি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে। পুরস্কারের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। ‘ইয়ং বাংলাদেশী ট্যালেন্ট’ শীর্ষক বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নেবেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রয়েছে ‘মুক্তির চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিশেষ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিভাগ। একইসঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ। এ বিভাগে জমা পড়া ৮১ দেশের ১ হাজার ১১৬টি ছবির মধ্যে প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশসহ ৩৭ দেশের মোট ১১৬ চলচ্চিত্র।
×