ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার উদ্বেগের মধ্যেও প্রস্তুত হচ্ছে আয়োজক জাপান

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২০ জানুয়ারি ২০২১

করোনার উদ্বেগের মধ্যেও প্রস্তুত হচ্ছে আয়োজক জাপান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন করে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়িয়ে দিয়েছে টোকিও অলিম্পিক গেমস আয়োজক কমিটির সদস্যদের রক্তচাপ। তবে নতুন বছরের প্রথমদিনেই তাদের আশ্বস্ত করলেন স্বাগতিক জাপানের প্রধানমন্ত্রী। গতকাল ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়ে দিয়েছেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ জুলাই থেকেই টোকিওতে বসবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়ানুষ্ঠান। সাম্প্রতিক সময় নতুন করে কোভিড সংক্রমণের খবর প্রকাশ করেছে সরকার। তাদের তথ্য অনুযায়ী প্রায় এক হাজার মানুষের শরীরে ধরা পড়েছে কোভিড। মনে করা হচ্ছে গ্রেট ব্রিটেনে কোভিডের যে নতুন স্ট্রেন্থ ধরা পড়েছে সেই ভাইরাসেই সংক্রমিত হয়েছেন তারা। এ নিয়ে আগেই সতর্কবার্তা জারি করে দিয়েছেন টোকিও’র গভর্নর ইউরিকো কোইকে। তিনি জানান, দ্রুত সাবধান না হলে সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে যেতে পারে। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৩৭। শনিবার নতুন করে আরও ৭৮৩ জনের শরীরে ধরা পড়ে সেই ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত জাপানে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৩৯,০৪১। মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩৩৭। ফলে অলিম্পিক আয়োজক কমিটি প্রবল চাপে পড়ে গেছে। করোনার কারণে অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অগের তুলনায় অনেক বেশি। আয়োজকদের তরফেও জানানো হয়েছে করোনা থেকে ক্রীড়াবিদদের রক্ষা করতে যে বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়েছে তারজন্য অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেছে। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় এই বছরে সবকিছু সম্পন্ন হলে তা হবে অলিম্পিকের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রীড়ানুষ্ঠান। সম্প্রতি একটি নাগরিক সমীক্ষায় উঠে আসে জাপানের এক বড় অংশের মানুষ চান আরও কিছুটা সময় পিছিয়ে দেয়া উচিত অলিম্পিক গেমস। আর এক অংশের মানুষ মনে করেন এই পরিস্থিতিতে বাতিল করে দেয়া হোক তা। তবে শনিবার প্রধানমন্ত্রী সুগা বলেছেন, কোন অবস্থাতেই অলিম্পিক গেমস স্থগিত করা হবে না। এরসঙ্গে বিশ্ব সংহতির প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। তাই আমাদের টোকিও অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতেই হবে। প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণ থেকে ক্রীড়াবিদদের রক্ষা করতে ইতিমধ্যে নতুন নিয়ম চালু করার কথা জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা। যেখানে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট ইভেন্টের পাঁচদিন আগে অলিম্পিক ভিলেজে প্রবেশ করতে পারবেন ক্রীড়াবিদরা। প্রাথমিক রাউন্ড থেকে বিদায় নিলে আগামী দু’দিনের মধ্যেই বেরিয়ে যেতে হবে ভিলেজ থেকে। তাতে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তা নিয়ে টোকিও অলিম্পিক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা হয়েছে আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস বাখের। তারসঙ্গে উদ্বোধনী এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বেশ কিছু ইভেন্টের প্রতিযোগীরা অংশ নিতে পারবেন না বলে ঠিক করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিয়মিতভাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সবমিলিয়ে অলিম্পিক গেমস সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে মরিয়া টোকিও আয়োজক কমিটির কর্মকর্তারা। তবে নতুন করে করোনার সংক্রমণ তাদের স্বপ্নে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় কি না সেটাই এখন দেখার।
×