ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্ছেদ অভিযান ও জরিমানা কোন কিছুই কাজে আসছে না

খুলনায় সরকারী জমি দখলের মচ্ছব

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

খুলনায় সরকারী জমি দখলের মচ্ছব

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ সরকারী নিয়মনীতি ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে খুলনায় সরকারী খাস জমি সরকারী বিভিন্ন দফতরের জমি দখলের মহোৎসব চলছে। দখলদাররা অধিকাংশই প্রভাবশালী। তারা অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে বহুতল ভবন, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য খামার, মাছের ডিপো, মিল, কলকারখানা, ইটভাঁটি নির্মাণ করছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে মৌখিক এবং লিখিত নোটিশ প্রদান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও কোন কিছুই যেন কাজে আসছে না। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সরকারী জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযানও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহানগরীসহ খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেক দখলদার উচ্ছেদও করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক পর্যায়ল্ডমে অবৈধ ইটভাঁটি উচ্ছেদসহ সকল সরকারী জদখলমুক্ত করা হবে সূত্র জানায়, খুলনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদের জমি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সম্প্রতি অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দখল সরিয়ে নিতে নোটিস দেয়া হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ পত্রিকার মাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিয়ত নোটিস প্রদান করছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ পরিচালনা করছে। ময়ূর নদী দখলমুক্ত করাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের পর অনেকে আবারও দখল নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে খুলনার রূপসার আঠারো বেকি নদীর পাশে স্থাপিত ব্নি ইটভাঁটির দখলে থাকা সরকারী খাস জউদ্ধাকরেছে রূপসা উপজেলা প্রশাসন। দীর্ঘদন যাবত এসব দখল করে রাখা অনকালে আঠারো বেনদীর তীরে গড়ে ওঠা ব্নি ইটভাঁটাতে ব্যবহৃত প্রায় ১০ একর সরকারী খাস জউদ্ধার করে লাল পতাকা টানিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা নিবাহী অফিসার গত নবেম্বর মাসের শেষ দিকে ভদ্রা ও হরি নদীর চরভরাটি জমিতে গড়ে ওঠা কয়েকটি ইটভাঁটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে তিনি সরকারী জমি চিহ্নিত করে লাল পতাকা টানিয়ে দখলদারদের দখল ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিলেও অদ্যাবধি দখলদাররা স্থাপনা সরিয়ে নেননি। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে উপরই নির্মাণ করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক কার্যালয়। অভিযোগ রয়েছে, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে খাসজমি, অর্পিত সম্পত্তি, সরকারী খাল ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড করে দখলে নিয়েছে জালজালিয়াতি চক্র। তারা আদালতে সেসব দলিলাদি দাখিল করে মামলা করে দখল উচ্ছেদে বাধাগ্রস্ত করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে দখলদীর্ঘদন যাবত দখল করে রাখা করা সরকারী সম্পত্তি বিল্ডি করারও অভিযোগ রয়েছে।
×