ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গত অর্থবছরে ৬৫ কোম্পানি ১৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে ৩৬ প্রতিষ্ঠানের লোকসান ৪ হাজার কোটি টাকা ২৫ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ সরকারী ৬ চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই বন্ধ

আর লোকসান নয় ॥ সরকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ২২:৩২, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

আর লোকসান নয় ॥ সরকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা পরিকল্পনা

রহিম শেখ ॥ গত অর্থবছরে সরকারের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে সরকারের মালিকানাধীন অন্তত ৬৫ কোম্পানি গত অর্থবছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তবে দীর্ঘদিন লোকসানের বৃত্তে আটকে থাকা সরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। ইতোমধ্যে লোকসানের বৃত্তে আটকে থাকা ২৫ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে লোকসানের বোঝা কমাতে সরকারী ছয় চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখমাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি)। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানে থাকার বড় কারণ অনিয়ম, অদক্ষতা ও দুর্নীতি। এ ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দিয়ে মুনাফায় ফিরতে না পারলে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা বৈঠকে সব সরকারী কোম্পানি ও সংস্থার লাভ- লোকসান অনুমোদন করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, অনেকগুলো সরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর লোকসান গুনলেও ৬৫টি কোম্পানি গত অর্থবছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এর মধ্যে গত অর্থবছরে চার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মুনাফা করেছে ৪ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক একাই করেছে ২ হাজার ২০৬ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের মুনাফা ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংক মুনাফা করেছে ২৪৮ কোটি টাকা। সরকারী মালিকানাধীন পেট্রোলিয়াম ও বিদ্যুত খাতের কোম্পানিগুলো বরাবরের মতো মুনাফা করেছে। এর মধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। এ ছাড়া কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ৪৮৬ কোটি, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড ৪৬৪ কোটি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ৩৮৩ কোটি, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি (এসিসিএল) ৩৪৫ কোটি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড ৩০৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। বরাবরের মতো চট্টগ্রাম বন্দরও মুনাফা করেছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ৩১০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত অর্থবছরে সরকারের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে লোকসানে শীর্ষ স্থান দখল করেছে কৃষি ব্যাংক। এই ব্যাংকের লোকসান ১ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। সরকারের বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংক লোকসান দিয়েছে ৩১৯ কোটি টাকা। কৃষি উন্নয়নে নানা কর্মসূচী নিয়ে মাঠে থাকা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকও লোকসান দিয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। প্রাকৃতিক গ্যাসকেন্দ্রিক ব্যবসা করে সব প্রতিষ্ঠানের প্রসার ঘটলেও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম এলপি গ্যাস লিমিটেড। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি লোকসান দিয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৬৩ কোটি টাকায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, ‘লোকসানের বৃত্তে আটকে থাকা সরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। মুনাফা করতে না পারলে লোকসানের তকমা সরকার আর নিতে চায় না। এজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের তালিকায় থাকা শাহজালাল ফার্টিলাইজার লোকসান দিয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা। চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজারের লোকসানের পরিমাণ ১৪৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া যমুনা ফার্টিলাইজারের লোকসান ৬২ কোটি, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানির ৭২ কোটি, পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির ৬ কোটি ও ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি ১৭৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারী সিমেন্ট কোম্পানিগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করলেও মার খাচ্ছে সরকারী সিমেন্ট ফ্যাক্টরি। ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি গত অর্থবছরে ৪০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। একই পথে হাঁটছে আরও বেশ কিছু সরকারী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সুলেটর এ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি ১৯ কোটি, উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি ১১ কোটি, এটলাস বাংলাদেশ ৩ কোটি, ইস্টার্ন কেবলস ১৩ কোটি, ইস্টার্ন টিউবস ৪ কোটি, কর্ণফুলী পেপার মিলস ২০ কোটি, বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি ৪ কোটি এবং ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস ২৩ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৪টি সুগার মিলের সব কটি লোকসান দিচ্ছে বছরের পর বছর। এর মধ্যে গত বছর সবচেয়ে বেশি লোকসান দিয়েছে নর্থ-বেঙ্গল সুগার মিলস। যার পরিমাণ প্রায় ৯৫ কোটি টাকা। মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস ৯৩ কোটি টাকা এবং ৮৪ কোটি টাকা করে লোকসান দিয়েছে রাজশাহী ও নাটোর সুগার মিলস। এ ছাড়া জয়পুরহাট সুগার মিলস ৭৭ কোটি, পঞ্চগড় সুগার মিলস ৬২ কোটি, রংপুর সুগার মিলস ৬১ কোটি, শ্যামপুর সুগার মিলস ৬৩ কোটি, সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস ৬৩ কোটি, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস ৮০ কোটি, পাবনা সুগার মিলস ৬১ কোটি, কুষ্টিয়া সুগার মিলস ৬২ কোটি, ফরিদপুর সুগার মিলস ৭০ কোটি ও ঝিলবাংলা সুগার মিলস ৬২ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. মীর্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারী প্রতিষ্ঠানে লোকসানের বড় কারণ অদক্ষতা ও কিছুটা দুর্নীতি। এখানে জনবল নিয়োগ থেকে শুরু করে পরবর্তী কার্য সম্পাদনে সমস্যা থাকে। এসব সংস্থায় শ্রমিকদের একটি বেপরোয়াভাব থাকে। কারণ জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে একটি টাইমলাইন বেঁধে দেয়া উচিত। নির্দিষ্ট সময়ে তারা ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। কারণ বছরের পর বছর সরকার লোকসান টানতে পারে না।’ বিশ^ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘একই ধরনের বেসরকারী কোম্পানি যে খাতে অতি মুনাফা করছে, সেখানে সরকারী প্রতিষ্ঠান মোটা অঙ্কের লোকসান দিচ্ছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি। তবে এর চেয়ে বড় কারণ জবাবদিহি না থাকা। আর যতটুকু আছে তা শুধু কাগজে-কলমে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আদমজী পাটকল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এখন সেটা প্রমাণিত। সম্প্রতি পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখানে লোকসানি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের সময় বেঁধে দিয়ে দেখা যেতে পারে।’ লোকসান কমাতে ৬ চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখমাড়াই বন্ধ ॥ লোকসান কমাতে সম্প্রতি সরকারী ৬ চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফআইসি। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের আখমাড়াই বন্ধ করা হয়েছে। উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া চিনিকলগুলো হচ্ছে- কুষ্টিয়া, পাবনা, পঞ্চগড়, শ্যামপুর (রংপুর), রংপুর ও সেতাবগঞ্জ (দিনাজপুর) চিনিকল। বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া ৬ চিনিকল গত অর্থবছরে ৩৮০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। তার মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকল ৬১ কোটি, পাবনা ৭৪, পঞ্চগড় ৪৭, শ্যামপুর ৫৯, রংপুর ৫৩ এবং সেতাবগঞ্জ চিনিকল লোকসান দিয়েছে ৮৪ কোটি টাকা। জানতে চাইলে বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহা জনকণ্ঠকে বলেন, লোকসানের মূল কারণ বিক্রয় মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি। তবে লোকসান কমানোর প্রথম ধাপ হিসেবে ছয়টি চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখমাড়াই বন্ধ করা হয়েছে। জাপান ও থাইল্যান্ড আমাদের চিনিকলে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চায়। করোনার উত্তরণ হলে এই বিনিয়োগ আসতে পারে বলে তিনি জানান। ২৫ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ ॥ সরকারী পাটকল খাতে গত ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসান হয়েছে। সর্বশেষ গত অর্থবছর শেষে পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাদের আওতায় থাকা ২৫টি পাটকলে লোকসান হয়েছে ৫৯৬ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লোকসান হয় ৫৭৪ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল ৪৯৭ কোটি টাকা। ধারাবাহিক লোকসান করায় দেশের সরকারী ২৫ পাটকলগুলোকে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূলত পাটকলগুলো চালাতে সরকারকে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আর বেসরকারীকরণের অংশ হিসেবে সরকারী পাটকলগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে পাওনাদি পরিশোধ করা হচ্ছে। জানতে চাইলে বিজেএমসির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জনকণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্ধ হওয়া পাটকল দ্রুত চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য আমরা এ কাজে কোন দেরি করতে আগ্রহী নই। শীঘ্রই পাটকলগুলো বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, পাটকলগুলো পরিচালনার জন্য কাদের দেয়া হবে, সেটি যেন রাজনৈতিক বিবেচনায় না হয়। অতীতে অন্যান্য খাতের বেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার পর সরকারী কলকারখানার জমি হাতছাড়া হয়ে গেছে। এজন্য মিলগুলোর জমি রক্ষায় ছোট ছোট অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পিপিপির মাধ্যমে পাটকলগুলো লাভজনক করতে হলে ভাল পরিকল্পনা থাকতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি বসাতে হবে। বর্তমানের মতো অনেক শ্রমিক প্রয়োজন হবে না। সে জন্য শ্রমিকের ন্যায্য দেনা-পাওনা পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে সরকারী পাটকলের পুনর্গঠনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, পাটকলগুলোর আকার যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনার পাশাপাশি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন করে সরকারী খাতে রেখে বা ব্যবস্থাপনা বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিয়ে কিংবা সরকারী- বেসরকারী অংশীদারত্বের (পিপিই) ভিত্তিতে পরিচালনার মাধ্যমে পুনর্গঠন সম্ভব। বর্তমানে পিপিপির মাধ্যমে পরিচালনার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ভিত্তিতে করতে হবে।
×