ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সপ্তাহব্যাপী ভার্চুয়াল বিজয় উৎসব

প্রকাশিত: ২৩:১২, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সপ্তাহব্যাপী ভার্চুয়াল বিজয় উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর বৈচিত্র্যময় আয়োজনে উদ্্যাপিত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত বিজয় উৎসব। নৃত্য-গীত, কবিতা, যাত্রাপালার সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাজানো হতো আয়োজন। তবে মহামারীর অভিঘাতে এবার পাল্টে গেছে দৃশ্যচিত্র। সরাসরি আনুষ্ঠানিকতার পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভার্চুয়াল উৎসব। মুজিববর্ষের নিবেদিত সপ্তাহব্যাপী উৎসবটির সূচনা হয়েছে বৃহস্পতিবার। চলবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত। মানবাধিকার থেকে বিজয় দিবস প্রতিপাদ্যে প্রতিদিন রাত আটটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত হচ্ছে এ অনুষ্ঠান। শুধু ১৬ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ের জাদুঘর আঙ্গিনায় থাকছে সরাসরি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। এদিন সকাল দশটায় জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে বধ্যভূমির সন্তান দল। শুক্রবার ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিনের আয়োজনে ছিল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। দেখানো হয় ফৌজিয়া খান নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘রাখবো বহমান’। আজ শনিবার তৃতীয় দিনের উৎসবে প্রদর্শিত হবে প্রামাণ্যচিত্র। দেখানো হবে প্রকাশ রায় নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রযোজিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশ : একটি পতাকার জন্ম’। রবিবার চতুর্থ দিনের উৎসবে প্রদর্শিত হবে দুটি তথ্যচিত্র। ‘একাত্তরের পদযাত্রী’ শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ফরিদ আহমেদ। এরপর দেখানো হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রযোজিত এবং মফিদুল হক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘কান পেতে রই’। সোমবার চতুর্থ দিনে উৎসবে সূচনা বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলী। এরপর থাকছে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক রশীদ হায়দারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের স্মৃতিচারণ পর্ব। এতে অংশ নেবেন শহীদ পরিবারের সদস্য শেখ সালমা নার্গিস, শহীদ ডাঃ আজহারুল হকের সহধর্মিণী সৈয়দা সালমা হক এবং রশীদ হায়দারের মেয়ে ক্ষমা হায়দার। সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হবে এদিনের আয়োজন। রোকাইয়া হাসিনা নীলির একক পরিবেশনার সঙ্গে সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করবে ঢাকার সানিডেল স্কুল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের এম এম হক আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন ॥ নানা আয়োজনে উদ্্যাপিত হলো নাট্যদল বাংলাদেশ থিয়েটারের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রয়াত নাট্যজনদের স্মরণের পাশাপাশি নাট্যবন্ধুদের শুভেচ্ছা প্রদান ও নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আয়োজন। মিলনায়তনের লবিতে স্থাপিত প্রয়াত নাট্যজন আলী যাকের, কে এস ফিরোজ, মোহাম্মদ মুসা, আহসান হাবীব, সাদেক বাচ্চু, স ম আজিজুর রহমান, ইশরাত নিশাত, নাজরানা চৌধুরী কলি, হাসনাত মোশাররফ ও শরীফ মাহমুদের প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধা ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আয়োজন। এরপর মিলনায়তনে বিভিন্ন নাট্য দলের প্রধান ও তাদের প্রতিনিধিদের উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছা জানায় দলটি। বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুভেচ্ছায় সিক্ত হন অনন্ত হীরা, রেজানুর রহমান, রফিকুল্লাহ সেলিম, চঞ্চল সৈকত, আব্দুল হালিম আজিজ, হুমায়ুন কবির হিমু, অশোক রায় নন্দী, নৃত্যব্যক্তিত্ব আমানুল হক, কবি লিলি হক, ড. আইরিন পারভীন লোপা প্রমুখ। বাংলাদেশ থিয়েটার প্রযোজিত ‘সী-মোরগ’ নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে শেষ হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজন। আসাদুল্লাহ ফারাজী রচিত ‘সী-মোরগ’ নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন হুমায়ুন কবির হিমু। এটি ছিল দলটির ষষ্ঠ প্রযোজনার ২৮৬তম মঞ্চায়ন। প্রযোজনাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন খন্দকার শাহ্ আলম, রফিক উল্যাহ, মাসুদা খান, ফাতেমা ফারজানা চৌধুরী সুমি, ফিরোজ খান, আজিজ রেজা, ইমন খান, আখতার, রাজা, রনি আক্তার, মজিবুর রহমান বাবু, রাতুল, মোস্তাফিজ, তানভীর, খালিদ মাহমুদ সাওন, দর্পণ প্রমুখ।
×