স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিন বছর পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শহিদুল ইসলাম (৪৭) নামে এক গরু ব্যবসায়ীর খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি)। অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর মাগুরার শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার (শহিদুলের) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে মৃতের পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবেই তাকে দাফন করা হয়। এমনকি অজ্ঞাত হিসেবেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। গত ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন শহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় শহিদুলের মা তমিরুন নেসা বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় শহিদুলের মৃত শ্যালক মোতাহারের স্ত্রী রোজিনা বেগম, তার বাবা জব্বার শেখ ও মা মতিরন নেসাকে আসামি করা হয়। আদালত তার মামলাটি থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ সদর দফতর ২০১৯ সালের নবেম্বরে অপহরণ মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। আর ওই অপহরণ মামলার তদন্তে উদ্ঘাটিত হয় শহিদুলকে খুনের রহস্য। সিআইডি নিশ্চিত হয় মাগুরার শ্রীপুরে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে উদ্ধার ব্যক্তিই শহিদুল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় রোজিনা বেগমকে। পরে গ্রেফতারকৃত রোজিনা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম এসব কথা জানিয়ে বলেন, অপহরণ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত ২২ নবেম্বর রোজিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীকালে রোজিনা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।