জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সেপ্টেম্বরের আগেই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন বেশিরভাগ কানাডিয়ান। আর তিন সপ্তাহে আরও ৬০ হাজার মার্কিন মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। ভারতে টানা দুদিন মৃত্যু ৫০০-এর নিচে, কমছে সংক্রমণও। সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে সংক্রমণ দশ লাখ ছাড়াল জার্মানিতে। এছাড়া শনিবার পর্যন্ত বিশে^র ছয় কোটি ২৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ২৯ হাজার ৬৮০ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩ জন। যাদের মধ্যে এক লাখ ৫ হাজার ২৫৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ লাখ ১৩ হাজার ২১৮ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। একদিনে মারা গেছেন ১০ হাজার ৮২০ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটারের।
আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই কানাডার বেশিরভাগ মানুষের হাতে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। গত কয়েক সপ্তাহে কানাডায় হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এ কারণে কিছু অঞ্চলে চলাফেরায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, কানাডায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৬২ হাজার ৬০৪ জন। মারা গেছেন অন্তত ১১ হাজার ৯১৬ জন। ট্রুডো জানিয়েছেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তার সরকার সব প্রদেশ এবং অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। কানাডা বড় পরিসরে টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ভালভাবেই প্রস্তুত। এটা হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকাদান অভিযান। সে যেখানেই থাকুক না কেন, আমাদের প্রত্যেকের কাছেই টিকা পৌঁছাতে হবে। কানাডীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ড্যানি ফরটিনকে দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। এক সময় ইরাকে ন্যাটো বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন ওই সেনা কর্মকর্তা। গত শুক্রবার ওন্টারিও প্রদেশে নতুন করে এক হাজার ৮৫৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা মহামারী শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এদিন সেখানে মারা গেছেন অন্তত ২০ জন। কানাডার বৃহত্তম শহর টরোন্টো এবং পার্শ্ববর্তী পিল অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে চলতি সপ্তাহে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এসব এলাকায় হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনাবশ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ থেরেসা ট্যাম জানিয়েছেন, দৈনিক সংক্রমণের অন্তত ৭৫ শতাংশই পাওয়া যাচ্ছে কুইবেক, ওন্টারিও এবং আলবার্টা প্রদেশে। এভাবে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও জরুরী সেবাগুলো চাপের মধ্যে রয়েছে।
ভারতে মৃত্যু ও সংক্রমণ কমছে ॥ গত দুইদিনে কমেছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। শুক্রবার দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ছিল ৪৩ হাজারের ঘরে। শনিবার তা আরও কমে হয়েছে ৪১ হাজারের ঘরে। আগের দিনের মতোই মৃত্যু হয়েছে ৫০০-এর নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩২২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ৯৩ লাখ ৫১ হাজার ১০৯ জন। মারা গেছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ২০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৮৫ জন। মোট ৮৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সাড়ে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৫২ জন।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
