গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ॥ ভিক্ষু ও আইনজীবীকে পাল্টা লিগ্যাল নোটিস

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের দায়ে শরণংকর ভিক্ষু ও তার আইনজীবীকে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী, বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ও সুপ্রীমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু। ভিক্ষু শরণংকরের অবৈধ কর্মকা-ের সমালোচনা করে বিবৃতিদানকারী দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের প্রতিনিধির পক্ষে তিনি এ নোটিস জারি করেন। চট্টগ্রামের রাঙ্গুগুনিয়া উপজেলায় বৌদ্ধ বিহার স্থাপনের নামে ভিক্ষু শরণংকর কর্তৃক অবৈধভাবে সংরক্ষিত বনভূমি, মন্দির ও শ্মশান দখল এবং পাহাড় ও গাছপালা কাটার সমালোচনা করে গত মাসে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শীর্ষ সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বিবৃতি দিলে তা জাতীয় দৈনিকগুলোতে ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। এই বিবৃতি কেন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই মর্মে ভিক্ষু শরণংকর তার উকিলের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নোটিস পাঠায়। এ প্রেক্ষিতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া এবং রাঙ্গুনিয়ার শৈবাল চক্রবর্তীর পক্ষে শরণংকর তার উকিলকে লিগ্যাল নোটিস এবং বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ও ঢাকাস্থ কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়র পক্ষে শরণংকর তার উকিলকে তাদের নোটিসের পাল্টা আইনী নোটিস পাঠিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। ভিক্ষু শরণংকরের অবৈধ কর্মকা-ের সমালোচনা করে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দেয়া বিবৃতি প্রকাশের কারণে গণমাধ্যমকে উকিল নোটিস দেয়া গণমাধ্যমের ‘স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অপরাধ’ বলে নোটিসে উল্লেখ রয়েছে। সেইসঙ্গে এ ধরনের ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধের দায় ও শাস্তির বিষয়েও নোটিসে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতমাসে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ও ঢাকার কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় এবং বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব সাবেক ডিআইজি পি আর বড়ুয়া স্বাক্ষরিত তিন পৃষ্ঠার বিবৃতিতে ভিক্ষু শরণংকরের অবৈধ কর্মকা- বৌদ্ধ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সমর্থনযোগ্য নয় এবং এহেন কাজ মহামতি বুদ্ধের অহিংসা, করুণা ও মৈত্রীর বাণীকে খর্বকারী বলে বর্ণনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি