ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথমদিন আশরাফুল, রাজ্জাক, নাফিসসহ ৮০ ক্রিকেটার দেবেন বিপ টেস্ট, বাকি ৩৩ জনের টেস্ট মঙ্গলবার

ফিটনেস টেস্ট আজ সাকিবের

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ৯ নভেম্বর ২০২০

ফিটনেস টেস্ট আজ সাকিবের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বেশ কয়েকদিন আগেই ফিটনেস টেস্টের জন্য ১১৩ জন ক্রিকেটারের তালিকা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি২০ লীগে ৫ দল অংশ নেবে। এই আসরে খেলবেন সবেমাত্র আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওঠা বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তালিকা অনুসারে আজ সর্বপ্রথম টেস্ট দেয়ার কথা সাকিবের, ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ হয়েছেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, আব্দুর রাজ্জাক রাজ, ফরহাদ রেজাসহ ৮০ ক্রিকেটার ফিটনেস টেস্ট দেবেন আজ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে এই টেস্ট। মঙ্গলবার দ্বিতীয়দিন বাকি ৩৩ ক্রিকেটার ফিটনেস টেস্টে অবতীর্ণ হবেন। বিপ টেস্টেই নির্ধারণ করা হবে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা। বিসিবির ফিটনেস ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার জানিয়েছেন, ইয়ো-ইয়ো টেস্টে ক্রিকেটারদের পরিচিতি না থাকায় এই ক্রিকেটারদের আপাতত বিপ টেস্টেই দেখা হবে ফিটনেস। দু’দিনব্যাপী এই ফিটনেস টেস্টে নেই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে তাকে রাখা হয়নি ফিটনেস টেস্টে। কিছুদিন আগেই বিসিবি জানিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধু টি২০ লীগে খেলার জন্য ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে ক্রিকেটারদের। সে জন্য ১১৩ ক্রিকেটারের তালিকা দেয়। তবে জাতীয় দল ও এইচপির ক্রিকেটারদের এই তালিকায় রাখা হয়নি। বিশেষ করে যারা অন্তত ৬ সপ্তাহ একসঙ্গে অনুশীলন করেছেন এবং বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে সিরিজে খেলেছেন তাদের এই ফিটনেস টেস্ট দেয়া লাগছে না। বাকি ১১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণরা প্লেয়ার্স ড্রাফটের জন্য বিবেচিত হবেন। ১২ নবেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টি২০ লীগের প্লেয়ার্স ড্রাফট। এবার খেলার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু সম্প্রতিই তার দুই সন্তান করোনা আক্রান্ত হওয়া এবং নিজে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ার কারণে আপাতত ফিটনেস টেস্টই দিচ্ছেন না তিনি। সাকিব এই আসর দিয়েই ফিরছেন ক্রিকেটে। আজ প্রথমে ফিটনেস টেস্ট রয়েছে তারই। এই ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে বিসিবির ফিটনেস ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার বলেন, ‘যারা এইচপি এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার আছে তারা অনেকেই এখন ভাল ছন্দে ফিরে এসেছে। মোটামুটি একটা খেলোয়াড় ৬ সপ্তাহের মতো ট্রেনিং করলে একটা পর্যায়ে চলে আসে। আর যারা এখনও খেলায় ফেরেনি তাদের ইনডুরেন্সটাই মূলত দেখা হচ্ছে।’ ইয়ো-ইয়ো টেস্ট নেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত এই ক্রিকেটারদের পুরনো নিয়মে বিপ টেস্টই নেয়া হবে। তুষার কান্তি বলেন, ‘এইচপির যারা আছে তাদের প্রায় সবারই ইয়ো-ইয়ো টেস্ট নেয়া হয়েছিল। গড়ে ১৮’র ওপরে সবাই আছে। আগামীকাল যে টেস্ট হবে সেটা বিপ টেস্টই হবে। যারা জাতীয় ক্রিকেট লীগ, বিসিএল খেলার জন্য জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় ছিল তাদের বিপ টেস্টটাই নেয়া হয়েছে। আগামীকালের টেস্টেও তাদের এই টেস্টেই রাখা হবে। কারণ নতুন একটা টেস্ট হিসেবে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট তাদের জন্য রাখছি না আমরা। কারণ তারা বিপ টেস্টে অভ্যস্ত। এরপর হয়তো তাদের জন্য আমরা ইয়ো ইয়ো টেস্ট দেব।’ দু’দিনব্যাপী এই ফিটনেস টেস্টের শেষদিন মঙ্গলবার।
×