ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর গভীর অনুভূতির ফসল ॥ স্পীকার

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ৫ নভেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর গভীর অনুভূতির ফসল ॥ স্পীকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গভীর অনুভূতির ফসল। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি বাঙালী জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা অনন্য সংবিধান। এই সংবিধানের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে সংবিধানে অনুসৃত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে সংবিধানের সুফল বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই এই সংবিধানের সকলের কাছে অর্থবহ হবে। বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ৪৯তম দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ৭২-এর সংবিধান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করে স্পীকার বলেন, বাংলার মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক মুক্তি দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যে আন্দোলন-সংগ্রাম, সেই আদর্শ-চিন্তা-দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে আমাদের সংবিধানে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘বাঙালি যখনই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েছে, তখনই এসেছে চরম আঘাত’। তাই সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা তিনিই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন। দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তাঁর দর্শন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন সংবিধানের চারটি মৌলিক স্তম্ভের আলোকে ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন শোষণহীন সমাজ নির্মাণ করতে পারে। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের এই মূল ভিত্তিকে সামনে রেখেই একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্ব ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারীর দুঃসময়েও আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি, দেশে খাদ্য সঙ্কট হয়নি এবং আমাদের সূচকগুলো এখনও উর্ধমুখী। খন্দকার আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এবং এ্যাডভোকেট আজহারুল্লাহ ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, এ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, এ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান সিকদার, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, হাসনাত ফারুক শিমুল রবিন, এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবু ও সমাজকর্মী সুচরিতা দেব বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রীমকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী ও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
×