ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় জারি হতে পারে জরুরী অবস্থা

প্রকাশিত: ০০:০৭, ২৫ অক্টোবর ২০২০

মালয়েশিয়ায় জারি হতে পারে জরুরী অবস্থা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার জেরে মালয়েশিয়ায় জরুরী অবস্থা জারি হতে পারে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন এরকম একটি প্রস্তাব নিয়ে বাদশাহ আল-সুলতান আব্দুল্লাহর কাছে গেছেন এবং তিনি বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য শাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। শনিবার আল-সুলতান আব্দুল্লাহর প্রাসাদ থেকে এক বিবৃতিতে শীঘ্রই ‘দ্য কাউন্সিল অব রুলস’-এর বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের। এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন শুক্রবার সুলতান আব্দুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন এবং দেশজুড়ে জরুরী অবস্থা জারির প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে বর্তমান পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখার কথাও বলা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তার। ওই প্রস্তাবের কড়া সমলোচনা করে বিরোধী দলের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী এই কৌশল নিয়েছেন। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মাহাথির মোহাম্মদের আকস্মিক পদত্যাগের পর সুলতান আব্দুল্লাহর পছন্দে নতুন প্রধানমন্ত্রী হন মহিউদ্দিন। তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাহাথিরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি। কিন্তু নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুলতানের ইচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া পছন্দ হয়নি প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের। তিনি এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। বলেছেন, এ নিয়োগ অবৈধ এবং বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। ফলে মার্চে নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলেও মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা অব্যাহত আছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারী। দেশটিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে; সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ওপরও চাপ বাড়ছে। তার ওপর, গত মাসে বিরোধী দলের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম পার্লামেন্টের ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে মহিউদ্দিনকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। এজন্য তার হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন। তাই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মহিউদ্দিন সুলতানের কাছে জরুরী অবস্থা জারির প্রস্তাব করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় নয়টি রাজপরিবার রয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের প্রধানদের নিয়ে গঠিত ‘দ্য কাউন্সিল অব রুলস’। এই কাউন্সিল দেশটির যেকোন আইন বাতিল করার এবং যেকোন জাতীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা রাখে। আগামী রবিবার এই কাউন্সিলের বৈঠক হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
×