ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় স্লুইস গেট আটকে মাছ চাষ ॥ আমন খেত নষ্ট

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৭ অক্টোবর ২০২০

কলাপাড়ায় স্লুইস গেট আটকে মাছ চাষ ॥ আমন খেত নষ্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৬ অক্টোবর ॥ স্লুইস গেট মাছ ধরার লোকজনের নিয়ন্ত্রণে থাকায় দৌলতপুরসহ তিন গ্রামের শতাধিক চাষীর কয়েক শ’ একর জমির আমন চারা পচে গেছে। কলাপাড়া উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া তিন ভেন্টের স্লুইসটি জাল পেতে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় কৃষকের এমন সর্বনাশ হয়েছে। সেখানকার সত্তার শরীফ এ স্লুইসটি নিয়ন্ত্রণ করছেন। আর জাল পেতে মাছ ধরছেন মনির হোসেন। যে সময় পানি নামানোর দরকার তখন গেট খুলে পানি উঠানো হয়। ফলে রোপা আমনের শত শত একর নিচু জমির চারা পানিতে ডুবে পচে গেছে। কৃষকরা এখন নিচু জমির পচে যাওয়া আমন চারা নিয়ে ফসল হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। কৃষকরা বলছেন আশপাশের বিলে আমনের এ বছর বাম্পার ফলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, আর সেখানে দৌলতপুরের যেসব বিলের পানি নিয়ন্ত্রিত হয় টুঙ্গিবাড়িয়ার স্লুইস দিয়ে ওই সব খেতের নিচু জমির আমন চারা পচে গেছে। সরেজমিনে কৃষকের এমন সর্বনাশা দৃশ্য দেখা গেছে। কৃষক জাহিদুল ইসলাম একজন কামলা নিয়ে নিজে সার ছিটাচ্ছিলেন আমন খেতে। জানান, এ বছর ১২৮ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে নিচু জমির প্রায় ২৪ বিঘা জমির আমন চারা পানিতে পচে গেছে। অভিযোগ তার, টুঙ্গিবাড়িয়ার স্লুইস দিয়ে গেল কয়েকদিনের বৃষ্টির সময় জোয়ারের সময় পানি তোলা হয়েছে। বিলসহ আমন খেত ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। দেখালেন এই কৃষক, সদ্য পাকা করা রাস্তার পশ্চিম পাশের আমন খেত সবুজে ছেয়ে গেছে। বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশাবাদ তার। ওখানকার ৬৪ বিঘার অবস্থা খুবই ভাল। তিনি জানালেন, ফতেহপুর স্লুইসটি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় রাস্তার পশ্চিম পাশের জমির আমন চারা ঠিকঠাক রয়েছে। আর রাস্তার পূর্বপাশের জমির পানি টুঙ্গিবাড়িয়ার স্লুইস আটকে রাখায় আমন চারা পচে গেছে। জানালেন মাওলানা সারোয়ারের ১২ বিঘার আট বিঘার আমন চারা খারাপ হয়ে গেছে। পচন ধরেছে। এ কৃষক জানালেন সার কিনতে হয়েছে ৮৪০ টাকা দরে। কৃষক খালেক গাজী জানালেন, খলিলপুর আর দৌলতপুরের কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। স্লুইসটি জাল পেতে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ কৃষক আরও জানালেন ২০-২৫ জনে ইউপি কার্যালয়ে শনিবার গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, স্লুইস নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানালেন। তবে কৃষক এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। কারণ সরকারী দলের নাম ব্যবহার করে এ স্লুইসটি মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
×