ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উখিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৬ অক্টোবর ২০২০

উখিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে দুই নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উখিয়ায় পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবি ও সোমবার উখিয়ার রতœাপালং এবং জালিয়াপালং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, উখিয়ার ভালুকিয়া পালংয়ে কবরী বড়ুয়া অপু ওই এলাকার উপেল বড়ুয়ার স্ত্রী। মুক্তি নামক এনজিওতে চাকরি করতেন কবরী। রতœাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জানান, রবিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে কবরীর মৃত্যু হয়। এনজিওতে চাকরি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কবরীর প্রায় ঝগড়া হতো। রবিবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাতে কবরী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে। এদিকে জালিয়াপালং জুম্মাপাড়া গ্রামে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে ছালেহা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রামু পূর্ব গোয়ালিয়ার আব্দুস সালামের কন্যা ছালেহা বেগমের সঙ্গে আব্দুল আজিজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল স্ত্রী ছালেহাকে। যৌতুকের জন্য স্বামী অমানুষিক নির্যাতন করে স্ত্রীকে। এতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু ঘটে বলে জানান নিহতের পরিবারের সদস্যরা। দৌলতপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা দৌলতপুর থেকে জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে পাশর্^বর্তী ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে। সোমবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় ইটভাঁটির নিকট পদ্মা নদীতে ওই যুবকের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানায়, কোলদিয়াড় গ্রামের ইটভাঁটির নিকট পদ্মা নদীর কিনারে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে তার লাশ উদ্ধার করে নিশ্চিত হয় সে মির্জাপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে মিরাজ। দু’দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। নড়াইলে দুই লাশ নিজস্ব সংবাদদাতা নড়াইল থেকে জানান, কালিয়ার মধুমতি নদী থেকে অর্ধগলিত ও বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা সেই অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। সে পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত আশরাফ মীরের ছেলে সাব্বির হোসেন (৪৫)। ২ অক্টোবর দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় রবিবার রাতে সাতজনকে আসামি করে উপজেলার নড়াগাতি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া রবিবার ও সোমবার দুদিনে উপজেলার নবগঙ্গা নদীর শুক্তগ্রাম নামক স্থান থেকে পুরুষ ও মহিলার দুটি অজ্ঞাতনামা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। জানা যায়, মধুমতি নদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বালু পরিবহন কাজে নিয়োজিত মেহেরীন-৭ নামের একটি জাহাজের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে সাব্বির হোসেন গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই জাহাজ থেকে নিখোঁজ হয়। পরে ২ অক্টোবর উপজেলার মধুমতি নদীর চরডুমুরিয়া নামক স্থান থেকে ভাসমান অর্ধগলিত ও বিবস্ত্র লাশটি নড়াগাতি থানা পুলিশ উদ্ধার করে অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে নড়াইল মর্গে পাঠায়।
×