ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নেইমার-এমবাপেদের গোল উৎসবে পিএসজির জয়

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ৪ অক্টোবর ২০২০

নেইমার-এমবাপেদের গোল উৎসবে পিএসজির জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলতি মৌসুমের শুরু থেকে খুব খারাপ সময় পার করছিলেন নেইমার। বিশেষ করে সম্প্রতি বর্ণবাদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে ধারণা করা হচ্ছিল নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বিতর্ক মিটে গেছে। নিশ্চিত হয় নিষেধাজ্ঞার শাস্তিটা পাচ্ছেন না তিনি। যার ফলে নির্ভার থেকেই এ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলতে নামেন নেইমার। আর এই ম্যাচেই নিজের ঝলক দেখালেন সাবেক বার্সিলোনা ও সান্তোস ফরোয়ার্ড। এই ম্যাচে একাই দুই গোল করেন তিনি। সেইসঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে এক গোল করাতেও ভূমিকা রাখেন নেইমার। যার ফলে ফ্রেঞ্চ লীগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে এ্যাঞ্জার্সকে। নেইমার ছাড়াও এদিন গোল করেছেন ইতালিয়ান রাইটব্যাক আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি, ফরাসী স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে, আইভোরিয়ান মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গানা গেয়ে এবং জার্মান মিডফিল্ডার ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। এর ফলে শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে চলেছে নেইমার-এমবাপেরা। প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছে প্যারিস জায়ান্টরা। সেই প্রভাব পড়েছে পয়েন্ট টেবিলেও। এ্যাঞ্জার্সকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম ৬ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পিএসজি। এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রেনেস। তবে নেইমারদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা। ফরাসী লীগে দীর্ঘ সময় ধরেই দাপট দেখাচ্ছে পিএসজি। শুধু ফ্রেঞ্চ লীগেই নয় বরং ইউরোপের শীর্ষ সারির ক্লাবগুলোর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে লড়াই করে চলেছে তারা। যদিওবা লীগে এবার নিজেদের শুরুটা হয়েছিল বাজেভাবে। সেই ধাক্কা ক্রমেই সামলে নিয়েছে থমাস টাচেলের দল। এ্যাঞ্জার্সের বিপক্ষে শুক্রবার আক্রমণভাগের পুরো শক্তি নিয়েই নেমেছিল পিএসজি। ৪-২-৩-১ ছকে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দির পেছনে নেমেছিলেন নেইমার। বাঁদিকে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে আর ডানদিকে ড্রাক্সলার। পেছনে দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে ইতালির মার্কো ভেরাত্তি ও আর্জেন্টিনার লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে খেলার সুযোগ করে দেন ক্লাবটির অভিজ্ঞ কোচ। মার্কিনিওস ও প্রেসনেল কিমপেম্বে রক্ষণভাগে জুটি বেঁধেছিলেন দু’পাশে ফুলব্যাক হিসেবে খেলা ফ্লোরেঞ্জি আর মিচেল বাকারকে নিয়ে। পেছনে ছিলেন যথারীতি তাদের সেরা গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। এমন দুর্দান্ত ছকে নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে পিএসজি। ম্যাচ শুরর ৭ মিনিটেই পিএসজিকে দারুণ এক গোলে এগিয়ে নেন ফ্লোরেঞ্জি। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। এমবাপের বাড়ানো বলে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। চলতি মৌসুমে এটাই নেইমারের প্রথম গোল। যার ফলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন সেই নেইমার। সেইসঙ্গে সব বিতর্কের জবাবটা গোলের মাধ্যমেই দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। সেইসঙ্গে পিএসজির রেকর্ডবুকেও জায়গা করে নেন নেইমার। মাত্র ৮৭ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করে ৭২ গোল করে পিএসজির ইতিহাসে সর্বকালের শীর্ষ দশ গোলদাতাদের তালিকায় জায়গা করে নেন এই ব্রাজিলিয়ান। তার চার মিনিট পর এ্যাঞ্জার্সের হয়ে একটি গোল শোধ করেন ইসমায়েল ত্রাওরে। অবশ্য ৫৭ মিনিটে ড্রাক্সলারের গোলে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নেয় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে জালের দেখা পান ড্রাক্সলারের বদলি নামা গেয়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার ডান পায়ের জোরালো শট সফরকারী এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ৮৪ মিনিটে এ্যাঞ্জার্সের জালে ষষ্ঠবারের মতো বল জড়ান পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেইমাররা।
×