ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশ নয় বিএনপিই চরম দুঃসময়ে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশ নয় বিএনপিই চরম দুঃসময়ে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ দুঃসময় পার করছে না, বিএনপির রাজনীতিতে চরম দুঃসময় চলছে। যেভাবে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে, নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হচ্ছে এবং জনগণ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করছে- তা বিএনপির জন্য চরম দুঃসময়ই বটে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা এবং শিশু-কিশোরদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গ্রন্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ওবায়দুল কাদের। ‘দেশ দুঃসময় পার করছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। সমৃদ্ধ দেশগুলোকেও পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমিত সুযোগ নিয়ে সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্কট মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হলেও একটি দল (বিএনপি) অবিরাম সমালোচনা করে যাচ্ছে। করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় তরঙ্গ মোকাবেলায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ¯্রষ্টার অপার কৃপা ও সরকারের অবিরাম প্রচেষ্টায় সংক্রমণ এখনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু বিএনপি এ সময়েও দেশে চরম দুঃসময় দেখতে পাচ্ছে। তারা বলেছিল, মানুষ বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। সে রকম পরিস্থিতি আসেনি বলেই কি তাদের কষ্ট হচ্ছে? তারা সম্ভবত সে রকম দুঃসময়েরই প্রত্যাশা করছে। তিনি বলেন, জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতি আবার সচল হতে শুরু করেছে, রফতানি, প্রবাসী আয়, রিজার্ভসহ অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচকগুলো ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। অর্জিত হয়েছে ঈর্ষণীয় সমৃদ্ধি-এসব অর্জন বিএনপি দেখে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নিছক কোন সরকারপ্রধান নন। তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। যার ভাবনায় পরবর্তী নির্বাচন নয়, তার ভাবনার আকাশজুড়ে পরবর্তী জেনারেশন (প্রজন্ম)। তাই গ্রহণ করেছেন শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিছক কোন শাসক নন, নিজেকে দেশের সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবার মেধা, সাহস ও সততার প্রতীক। সরকারপ্রধান হয়েও অতিসাধারণ জীবনযাপন শেখ হাসিনাকে করে তুলেছে অসাধারণ একজন। তার সন্তানদের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে দেননি। সরকারপ্রধানের সন্তান বলে কোন প্রশ্রয় পাননি, সৃষ্টি করেনি হাওয়া ভবন। তরুণ-কিশোরদের কোন অবস্থাতেই সাইবার অপরাধে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তোমাদের বিশ্বমানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা সরকার সে সুযোগ তৈরির প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। আমি তোমাদের বলব, কোন কারণেই সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়াবেন না।’ সময়ের কষ্টিপাথরে পরীক্ষিত এক দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের নাম শেখ হাসিনা উল্লেখ করে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলা অব্যাহত রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদউস সামাদ চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের সদস্য সচিব কে এম শহিদুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বলেন, করোনাকালে দলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে তা সত্যিই স্মরণীয়। করোনাকালে সংগঠনটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্রবিতরণ, শিশুদের মধ্যে পোশাক বিতরণ, খাবার বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচীর আয়োজন করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ সংগঠনের সাবেক এবং মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
×