ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত না হবার আহবান এমপি মোস্তাফিজের

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত না হবার আহবান এমপি মোস্তাফিজের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীর লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। একই সাথে তিনি জামায়াতের ষড়যন্ত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত না হওয়ারও আহবান জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, বাঁশখালী পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ২৬ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ডাঃ আলী আশরাফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও গার্ড অব অনার পাওয়ার কথা। কিন্তু দুর্গম এলাকায় উপজেলা প্রশাসন কিছুটা দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় তার আগেই দাফন সম্পন্ন হয়। ‘অনাকাঙ্খিত ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত জামায়াতের মদদপুষ্ট একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ওই ঘটনার সময় আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ছিলাম। তারপরও যদি এ ঘটনায় কোন মুক্তিযোদ্ধা কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি । এমপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর আমি জানতে পারি, গার্ড অব অনার দেবার সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন জানাযার স্থানে গিয়েছিল । কিন্তু একটি পক্ষ গার্ড অব অনার দেয়া নাজাযেজ এমন ধর্মীয় ব্যাখা দিয়ে তড়িগড়ি করে তার দাফন সম্পন্ন করে ফেলে। এমপি বলেন, বাঁশখালী স্বাধীনতার আগ থেকেই, স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ৯১ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে এই এলাকায় আওয়ামী লীগ সংগঠিত হতে থাকে। ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বেশ কিছু পদে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু পরবর্তিতে আওয়ামী নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এ উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ অধিকাংশ পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ইস্যুকে সামনে এনে পরিকল্পিতভাবে দলের মধ্যে কোন্দল তৈরি করে জামায়াত তাদের ঘাঁটি পুনরুদ্ধারের ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২নং সাধনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা,বাঁশখালী পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী, কালীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ.ন.ম শাহাদাত আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম,সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী,ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন চৌধুরী, শেখেরখীলের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন, এমপির ব্যক্তিগত সহকারি এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এডভোকেট রাহাদ চৌধুরী রণি (এপিপি), সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মিজান সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম চৌধুরী ও নাদিম প্রমুখ।
×