ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অফিস সহায়ক চালাচ্ছেন শরীয়তপুর ড্রাগ অফিস

প্রকাশিত: ২০:০২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

অফিস সহায়ক চালাচ্ছেন শরীয়তপুর ড্রাগ অফিস

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৬ সেপ্টেম্বর ॥ ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি খুলে বৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা করতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স নেয়া জরুরী। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হয়। শরীয়তপুরে সরকার নির্ধারিত ফিসহ সব শর্ত পূরণ করে আবেদন করার পরও ঘুষ ছাড়া মেলে না খুচরা এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ বিক্রির ড্রাগ লাইসেন্স। ঘুষ দেয়া না হলে মাসের পর মাস ফাইল আটকে থাকে। এমনকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ফাইল হারিয়ে গেছে বলে জানানো হয়। আর ঘুষের টাকা টেবিলে বসেই লাইসেন্স-প্রত্যাশীদের সঙ্গে নির্ধারণ করেন অফিস সহায়ক ছাদেকুর রহমান। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জানা গেছে, ড্রাগ লাইসেন্স ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। পৌর এলাকার জন্য এই ফি ৩ হাজার টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে দেড় হাজার টাকা। দুই বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। পৌর এলাকার জন্য নবায়ন ফি ২ হাজার টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে এটি ১ হাজার টাকা। ভুক্তভোগীরা জানান, ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা ছাড়া নতুন লাইসেন্স পাওয়া যায় না। শরীয়তপুর পৌরসভার ক্ষুদ্র ওষুধ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ও অজিত মজুদার জানান, নতুন লাইসেন্স পাওয়ার জন্য তারা ২১ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। আর এই টাকা অফিস সহায়ক ছাদেকুর রহমান নিয়ে থাকেন বলে জানান তারা। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে শরীয়তপুর ড্রাগ অফিসের অফিস সহায়ক ছাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ড্রাগ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন, আমি কিছু বলতে পারব না। শরীয়তপুর জেলা ড্রাগ অফিসে সুপার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বিথী রাণী মণ্ডল মুঠোফোনে বলেন, আমি মাদারীপুর জেলা ড্রাগ অফিসে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত আমি শরীয়তপুরে ড্রাগ অফিসে সুপার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলাম। এখন আমার প্রমোশন হয়েছে তাই ঢাকা অফিসে যোগদান করেছি। ঘুষ নেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি লাইন কেটে দেন।
×