নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, ৫ সেপ্টেম্বর ॥ মীরসরাইয়ে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে পাকা সড়ক ধসে খালে পড়ে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের কাজির হাট-রামম-ল সড়ক খালে বিলীন হওয়ার পথে। পাকা সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দেড় বছর আগে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফাটল দেখা দেয় ৩০০ মিটার অংশে। ফাটল ধরা অংশটি আর মেরামত না করায় এক বছর আগেই খালে ধসে পড়েছে সড়কটি। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহালেও সড়কটি সংস্কারে কিছুই করছে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে ি দেখা যায়, ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের সড়কটির খাল পাড়ের ৩০০ মিটার অংশের পুরোটাই চলে গেছে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাহেরখালী খালের পেটে। আগে সব সময় এই রাস্তায় মিনি পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, রিক্সা চললেও এখন বাইসাইকেল চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এই সড়কে নিয়মিত সিএনজি চালক রহিম জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমাদের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল সড়কটি। কিন্তু সড়কটি খালে বিলীন হওয়ায় আমাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কাজিরহাট-রামম-ল সড়কটি উত্তরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্বে মায়ানী ভোরের বাজার থেকে দক্ষিণে হাইতকান্দি ইউনিয়নের বাপনা পুকুর গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। এই এলাকায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে মাজেদা হক উচ্চ বিদ্যালয়, মাজেদা হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাওয়া-আসার একমাত্র সড়ক এটি। পাশে সাহেরখালী খাল খনন করলে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে পূর্ব পাশে সড়ক ঘেঁষে মাটি কাটায় পাকা সড়কটিতে ফাটল ধরে। পরে ফাটল ধরা অংশ মেরামত না করায় একই বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে পুরো সড়কটি খালে ধসে পড়ে। কাজিরহাট-রামম-ল সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোন নক্সা ছাড়া অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে এই সড়কটি খালে ভেঙ্গে পড়ে যায়। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার হাইতকান্দি, মায়ানী ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিত্য যাতায়াত করে থাকে। তাই এই সড়কটি সংস্কার করা জরুরী।
খৈয়াছড়া ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিন বলেন, কাজিরহাট-রামম-ল সড়কটি খালে ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানিয়েছি। খৈয়াছড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কাজিরহাট- রামম-ল সড়কটির বিষয়ে ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছেন। এত বড় রাস্তার কাজ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। উপজেলার আগামী সমন¦য় সভার মিটিংয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি তুলে ধরব।