ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত আর নেই

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২৬ আগস্ট ২০২০

সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব) চিত্তরঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বয়েন্টনবিচের বেথেসডা সাউথ হাসপাতালের হসপিস কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে) তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বীর উত্তম খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা সি আর দত্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সি আর দত্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। সি আর দত্ত গত কয়েক বছর ধরে ছেলে ডাঃ রাজা দত্ত, মেয়ে মহুয়া দত্ত, পুত্রবধূ, জামাতা ও দুই নাতির সঙ্গে নিউইয়র্কে বসবাস করে আসছিলেন বলে জামাতা প্রদীপ দাসগুপ্ত জানিয়েছেন। গত বিজয় দিবসে নিউইয়র্কে ছেলে রাজা দত্তের বাসায় যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আয়োজনে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। সে সময় তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কোন অনুষ্ঠানে সেটাই ছিল তার সর্বশেষ বক্তৃতা। গত বছরের শেষ দিকে ফ্লোরিডায় ছোট মেয়ে কবিতা দাসগুপ্ত হ্যাপির বাসায় চলে যান সি আর দত্ত। এ বছর মার্চে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়লে নিউইয়র্কে না ফিরে তিনি ফ্লোরিডাতেই থেকে যান। প্রদীপ দাসগুপ্ত জানান, সম্প্রতি বাথরুমে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে যায় সি আর দত্তের। হাসপাতালে নেয়ার পর তার পায়ে অস্ত্রোপচারও করা হয়। সে সময় উনাকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়েছিল। উনি ছিলেন এ্যাজমার পেশেন্ট। সার্জারির পর তার শ্বাসকষ্ট মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়, কিডনিও অচল হয়ে পড়ে। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সংজ্ঞা ফেরানো সম্ভব হলেও পরে অবস্থার আরও অবনতি হয়। সোমবার দুপুরেই চিকিৎসকরা তাকে ফেরানোর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন বলে জানান প্রদীপ। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই মুক্তিযোদ্ধাকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করতে চান তারা। তার আরেক মেয়ে কানাডা থেকে ঢাকায় আসছেন বাবার মরদেহ গ্রহণ করার জন্য। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব প্রবীণ সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তিনি আর ফিরলেন না। চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। সি আর দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে সিআর দত্ত বীর উত্তমকে স্মরণ রাখবে। রাষ্ট্রপতি প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সি আর দত্তের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান দেশ ও জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত সি আর দত্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সি আর দত্তের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শোকবার্তায় তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সি আর দত্তের আত্মার শান্তি কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া, সি আর দত্তের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি অসমের রাজধানী শিলংয়ে জন্মগ্রহণ করেন সি আর দত্ত। বাবা উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত ছিলেন পুলিশ অফিসার। প্রাথমিক শিক্ষা শিলংয়ে শুরু হলেও পরে তার পরিবার স্থায়ীভাবে চলে আসে হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাসের পর খুলনার দৌলতপুর কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন সি আর দত্ত। ১৯৫১ সালে যোগ দেন তখনকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে আসালংয়ে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেন সি আর দত্ত। সেই যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করে। ১৯৭১ সালে ৪ নম্বর সেক্টরে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে নিজেই নেতৃত্ব দেন সি আর দত্ত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের চূড়ান্ত মুহূর্ত যখন উপস্থিত, সে সময় ছুটিতে দেশেই ছিলেন সেনাবাহিনীর ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের মেজর সি আর দত্ত। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উদ্দীপ্ত হয়ে তিনি যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। তাকে দেয়া হয় স্বাধীনতাযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব। সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই শায়েস্তাগঞ্জ রেল লাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট ডাউকি সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর সেক্টর ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অবস্থান। সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সিলেটের রশীদপুরে প্রথমে ক্যাম্প বানান তিনি। চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চা বাগানের আড়ালকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করেন তিনি। রণকৌশলের অংশ হিসেবে পরে রশীদপুর থেকে ক্যাম্প সরিয়ে নেন মৌলভীবাজারে। ওই সেক্টরে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যার বেশ কয়েকটিতে নিজেই নেতৃত্ব দেন সি আর দত্ত। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্ব ও অবদানের জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। চিত্তরঞ্জন দত্ত ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলে তার দায়িত্ব দেয়া হয় সি আর দত্তকে। বাংলাদেশ রাইফেলসের প্রথম মহাপরিচালক তিনি। পরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বিআরটিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান সি আর দত্ত। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম গঠনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন সি আর দত্ত। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৪নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব) চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম -এর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি পরলোকগত চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম-এর আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মেজর জেনারেল (অব) চিত্ত রঞ্জন দত্ত ছিলেন মাতৃভূমির কল্যাণে আত্মনিবেদিত প্রাণ এক দেশপ্রেমিক সৈনিক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রপথিক মেজর জেনারেল (অব) চিত্ত রঞ্জন দত্তের মৃত্যুতে বাংলাদেশ এক বীর সন্তানকে হারিয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি সি আর দত্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। চিত্ত রঞ্জন দত্তের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের। শোক বার্তায় তিনি প্রয়াত সিআর দত্তের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোক বার্তায় জিএম কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে সিআর দত্তের বীরোচিত অবদান জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করবে। দেশের প্রতি তার মমত্ববোধ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব) সিআর দত্ত সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ রাইফেলস, বিআরটিসি এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিআর দত্তের মৃত্যুতে জাতি একজন অভিভাবককে হারালো। মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব) সি আর দত্ত বীর উত্তমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)। এক শোকবার্তায় পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডাঃ এম. এ. সামাদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডর সি আর দত্ত মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সিলেট অঞ্চলে পাকিস্তানী হানাদারদের পরাজিত করতে সমর্থ হয়। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদান বাঙালী জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। সি আর দত্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ ও সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার ও সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি অধ্যাপক নব্যেন্দু বিকাশ দত্ত। সি আর দত্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, পরিবারের ইাচ্ছা তার লাশটা বাংলাদেশে নিয়ে আসা। আমাদেরও ইচ্ছা, লাশটা বাংলাদেশে আসুক। তার লাশ কিভাবে আসবে? কারণ এখন বিমানগুলো বন্ধ। আমরা চাই বাংলাদেশেই তার সৎকারটা করা হোক। তবে বাংলাদেশের কোথায় তার সমাধি হবে, সেটা ঠিক করি নাই। এইমাত্র খবরটা পেলাম। তাছাড়া, লাশটা আসতেও কিছুদিন সময় লাগবে। এর মধ্যে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা ঠিক করব। সি আর দত্তের মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ করেছেন বিসিএস মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর কর্মকর্তা ও কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মুসা বলেন, সি আর দত্ত ছিলেন এই সমিতির উপদেষ্টা। আমি ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারের ওয়ার করেসপন্ডেন্ট হিসেবে সকল সেক্টর কমান্ডারদের সঙ্গে কাজ করেছি। সি আর দত্ত ছিলেন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠিাতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্তের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, সহ-সভাপতি বিশ^জিৎ সরকার মনি, সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাধব কর্মকার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
×