ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রদীপের প্রতিহিংসার বলি সিনহা, আজ গণশুনানি

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ১৬ আগস্ট ২০২০

প্রদীপের প্রতিহিংসার বলি সিনহা, আজ গণশুনানি

চট্টগ্রাম অফিস, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে সংঘটিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যাকা-ের ঘটনার নেপথ্যে একটি ক্লু মিলেছে। সেটি হচ্ছে টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বলি হয়েছেন সিনহা। সিনহা হত্যার নেপথ্যে রয়েছে প্রদীপেরই নীলনক্সা। ফলে সিনহা হত্যাকা- একটি পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবেই উঠে এসেছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছে। অপরদিকে, সিনহা হত্যা মামলায় নিয়োগকৃত নতুন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম শুক্রবার চার পুলিশসহ ৭ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার পর শনিবার তিনি (তদন্ত কর্মকর্তা) হত্যাকা-ের স্পট পরিদর্শন করেছেন। বাহারছড়ার শামলাপুরের সেই চেকপোস্টে ঘটনাটি কিভাবে সংঘটিত হয়েছে তা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ‘ড্যামি চিত্র’ ধারণ করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলের আশপাশে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে এবং কয়েক প্রত্যক্ষদর্শীর জবানিও গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গঠিত তদন্ত কমিটি আজ ঘটনাস্থলে গণশুনানি করবেন। এতে প্রত্যক্ষদর্শীসহ আগ্রহীদের উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নোটিস জারি করা হয়েছে। একটি গোয়েন্দা রিপোর্টসহ বিভিন্নভাবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, সিনহা সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার আগে টেকনাফ বিজিবিতে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালীন তিনি মানব পাচার ও মাদক চোরাচালান এবং এতে পুলিশের কিছু সদস্যের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি তৈরির কাজে সংশ্লিষ্ট হন। ডকুমেন্টরি তৈরির এ তৎপরতা পুলিশ সদস্যের কেউ কেউ ভাল চোখে দেখেননি। ওই সময়ে টেকনাফ থানার ওসি ছিলেন রঞ্জিত কুমার বড়–য়া নামের একজন। তবে রঞ্জিত বদলি হয়ে যাওয়ার পর ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে থাকে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ওসি হিসেবে যোগ দেন প্রদীপ কুমার দাশ। এদিকে ঘটনা নিয়ে সময়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিনহাকে হত্যার চারদিন আগে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের একই স্থানে মাস্ক না পরার কারণে এক বৃদ্ধকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ নাজেহাল করেন। এমনকি মারধরও করেন। ঠিক ওই সময়ে এ সড়ক দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে সিনহা গাড়ি থেকে নামেন। নিজের পরিচয় দেন। একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে এভাবে মারধর ও নাজেহাল না করার অনুরোধ করেন। অনুরোধ ছিল বেশ জোরালো ও অনেকটা ক্ষোভের। সহকর্মীদের সামনে সিনহার কিছু বক্তব্যে ওসি প্রদীপ বিব্রতবোধ করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ সিনহাকে দেখে নেবেন বলেও হুমকি দেন। হুমকির পরও সিনহা বাগবিত-া না বাড়িয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এর পর থেকে ওসি প্রদীপ তার বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সিনহার গতিবিধি নজরে রাখেন এবং প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়ে হত্যার নীলনক্সা প্রণয়ন করতে থাকেন। এর আগে ৩ জুলাই সিনহা তার অপর সহযোগী শ্রিপা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম শিফাতকে নিয়ে কক্সবাজার যান এবং ওঠেন নীলিমা রিসোর্টে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, সিনহা ইউটিউবে ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ট্রাভেল চ্যানেল পরিচালনা করেন এবং ওই চ্যানেলে প্রচারের জন্য একটি ভিডিও করতেই তারা কক্সবাজার যান। তাদের এ অবস্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কে কক্সবাজারের ডিসি ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ বিভাগ অবহিত ছিল। টানা ২৭ দিন ধরে ওই রিসোর্টে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন স্পটে ছবি ধারণ করে তাদের কাজ এগিয়ে নেন। ৩১ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে সিনহা, তার সহযোগী ক্যামেরাম্যান শিফাতকে নিয়ে নীলিমা রিসোর্ট থেকে বাহারছড়ার পাহাড়ে যান ভিডিও ধারণের জন্য। ওই সময় তিনি ভিডিও ধারণের পরিকল্পনা অনুযায়ী কমব্যাট গেঞ্জি, ট্রাউজার ও বুট পরিধান করেন। এ কাজে তারা ৮টা নাগাদ পাহাড়ে অবস্থান করেন। এ ঘটনা অবহিত হওয়ার পর ওসি প্রদীপ তার সোর্সের মাধ্যমে পরিকল্পনা আঁটেন। মারিসবুনিয়া এলাকাটি ডাকাতপ্রবণ হওয়ায় সিনহা ও শিফাতকে ডাকাত হিসেবে চিহ্নিত করার ফন্দি আঁটেন। ডাকাতির ঘটনা সাজানোর জন্য ওসি প্রদীপ সেখানকার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য নুরুল আমিনকে সিনহা ও শিফাতের ওপর নজর রাখতে বলেন। রাত অনুমান ৮টা ৪০ মিনিটের সময় সিনহা ও শিফাত তাদের কাজ শেষে পুলিশের কতিপয় সোর্স তাদের মুখে টর্চের আলো ফেলে পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তা প্রদীপের নিয়ন্ত্রিত পুলিশ সদস্যদের অবহিত করে। নিজেদের প্রাইভেট কার নিয়ে সিনহা ও শিফাত পাহাড় থেকে নেমে মেরিন ডাইভ সড়ক দিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে বিজিবির একটি চেকপোস্ট তাদেরকে আটকায়। পরিচয় জানার পর বিজিবি সদস্যরা সিনহা ও সহযোগীকে ছেড়ে দেয়। বিজিবি সদস্যরা সিনহাকে স্যালুট দিয়ে সম্মান জানায়। এর পর সিনহা গাড়ি নিয়ে শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে আসেন। পরিচয় পাওয়ায় এপিবিএন সদস্যরা তাকে স্যালুট দিয়ে সম্মান জানিয়ে ছেড়ে দেয়। এ অবস্থায় আগে থেকে সক্রিয় থাকা বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী এগিয়ে আসেন এবং একটি ড্রাম দিয়ে গাড়ির গতিরোধ করেন। এর পর তাদেরকে গাড়ি থেকে নামার জন্য বলা হয়। সিনহার পরামর্শ অনুযায়ী শিফাত হাত তুলে গাড়ি থেকে নামেন। এর পর সিনহাকেও নামার নির্দেশ দেন লিয়াকত। পরিচয় দেয়ার পরও লিয়াকত থামেননি। ফলে সিনহা হাত তুলে গাড়ি থেকে নামার মুহূর্তেই লিয়াকত পর পর তিনটি গুলি করেন। পরে আরও একটি গুলি করে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর ওসি প্রদীপ অনুমান দশ মিনিটের মধ্যেই স্পটে পৌঁছেন। যদিও এ ঘটনার পর ওসি প্রদীপ থানায় যে জিডি করেছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছেনÑ খবর পেয়ে তিনি থানা থেকে স্পটে গেছেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান টেকনাফ থানা থেকে শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছুতে ন্যূনতম ৩০ মিনিট সময় প্রয়োজন। কিন্তু তিনি পৌঁছেছেন দশ মিনিটে। ফলে প্রতীয়মান যে, ওসি প্রদীপ আগে থেকেই আশপাশের কোথাও অবস্থান নিয়েছিলেন। ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের কাছে শিফাত বলেছে, ঘটনাস্থলে এসআই লিয়াকত কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়েই ‘কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দেন এবং পর পর তিনটি গুলি করেন। সিনহা গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর এসআই লিয়াকত তার পেটে লাথি মারেন এবং ২০ থেকে ২৫ সেকেন্ড সিনহার মুখ এবং পা চেপে ধরেন। পরে শায়িত অবস্থায় আরও একটি গুলি করেন। এ পর্যায়ে তিনি (শিফাত) কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান সিনহা মাটিতে পড়ে আছে এবং গলা থেকে রক্ত বেরুচ্ছে। এর পর তাকে মাটিতে ফেলে হাত পেছনে নিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। শিফাত আরও জানিয়েছেন, গুলি করার আগে সিনহা কোনভাবেই গাড়ি নিয়ে চলে যেতে চাননি। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও লিয়াকত কেন গুলি করলেন তা তার কাছে অবিশ^াস্য। ঘটনার পর ওসি প্রদীপ একটি মাইক্রো ও একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে হাজির হন। গাড়ি থেকে নেমে ওসি প্রদীপ সিনহার মৃতদেহে কয়েকবার লাথি মারেন। এসব ঘটনা শামলাপুর আর্মি ক্যাম্পের সার্জেন্ট আইয়ুব মোবাইলে ভিডিও করতে থাকলে প্রদীপের সঙ্গে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্য আইয়ুবের মোবাইল কেড়ে নেন এবং ধারণকৃত ছবি মুছে ফেলেন। সার্জেন্ট আইয়ুব একা থাকায় পুলিশের সঙ্গে কোন তর্কবিতর্কে না জড়িয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন। আইয়ুবের বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার ৩৫ মিনিট পরও সিনহার প্রাণ ছিল। এ অবস্থায় সিনহাকে কয়েক পুলিশ টেনেহিঁচড়ে চেকপোস্টের কাছে নিয়ে যায়। পুলিশের দুজন সিনহার দুই পায়ের ওপর দাঁড়ায় এবং পেটের ওপর বসে মুখে গামছা বেঁধে পানি ঢালতে থাকে। এ সময় ওসি প্রদীপ আশপাশের বাজারের লোকজনদের চিৎকার করে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান এবং কাউকে কোথাও যেতে নিষেধ করেন। কিছু সময় পর ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে যান। এরপর পিকআপ ভ্যানে সিনহার নিথর দেহ নেয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ওসি প্রদীপ এ বিষয়ে থানায় জিডি করেন। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, জিডির সঙ্গে ঘটনার বেশ অমিল রয়েছে। পরদিন তিনি হত্যাকা- নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করেন। বাদী হন এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত। এর আগে ওসি প্রদীপ নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থানরত শ্রিপা দেবনাথের রুম থেকে কিছু মাদক উদ্ধার দেখিয়ে একটি মামলা করেন। আলামত হিসেবে যেসব গাঁজা, ইয়াবা দেখানো হয়েছে সবই সাজানো একটি পরিকল্পনার অংশ বলে উঠে এসেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে যেসব সামগ্রী উদ্ধার দেখানো হয়েছে তার কিছুই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়নি। এছাড়া যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের সকলের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নিয়ে সিজার লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। যে তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে ওই তিনজনই এখন সিনহার বোনের দায়ের করা মামলার আসামি। এরা হলেন মারিসবুনিয়ার নুরুল আমিন, নাজিম উদ্দিন ও মোঃ আয়াছ। সিজার লিস্টে শিফাতের কাছে যে ইয়াবা ছিল বলে বলা হয়েছে সেটিও সাজানো একটি নাটকের অংশ। ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে শিফাতের বক্তব্য অনুযায়ী রিসোর্ট নীলিমায় পুলিশ সদস্যরা দু’দফায় তল্লাশি চালিয়েছে। শিপ্রার কক্ষ থেকে মাদকসহ যেসব আইটেম উদ্ধার দেখানো হয়েছে তা মিথ্যা বলে শ্রিপা ইতোমধ্যে বক্তব্য দিয়েছে। এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি টেকনাফ থানা পরিদর্শনে গিয়ে থানার আলমিরাতে ৮শ’ পিস ইয়াবা দেখতে পায়। এসব ইয়াবার আকার ও রং নীলিমা থেকে উদ্ধারকৃত জব্দ তালিকা অনুযায়ী ইয়াবার সদৃশ। ফলে এটিও সাজানো একটি নাটক বলে প্রতীয়মান। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি থানার পুলিশ সদস্যদের প্রশ্ন করলে তারা এসব ইয়াবা অন্য মামলার আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছে। অথচ, যে কোন মামলার আলামত পুলিশের আলমিরাতে থাকার কথা নয়। এছাড়া তদন্ত কমিটি টেকনাফ থানা পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছে, সিনহাকে নিয়ে একটি জিডি ছাড়া গত একবছরে কোন জিডিতে ওসি প্রদীপের স্বাক্ষর নেই। ফলে বলা যায়, গেল এক বছরে সিনহার ঘটনা ছাড়া আর কোন ঘটনা টেকনাফে ঘটেনি, জিডিও হয়নি। অনুসন্ধানে বের হচ্ছে, ওসি প্রদীপ তার নিজস্ব নোট বইয়ের খসড়া অনুযায়ী, পরিকল্পিতভাবে জিডির এন্ট্রি রেজিস্টারে উঠিয়ে স্বাক্ষর করতেন। সিনহা হত্যার পর অনুরূপ একটি জিডিতে স্বাক্ষর করেন। ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা ॥ এদিকে সিনহা হত্যায় নিয়োগকৃত নতুন কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম শনিবার বিকেলে বাহারছড়া পুলিশ ক্যাম্প ও শামলাপুর চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন। তিনি ঘটনা নিয়ে চেকপোস্টের সদস্য ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া কিভাবে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তার একটি ডামি চিত্র ধারণ করেন। এর পর তিনি কক্সবাজারে ফিরে আসেন। পাশাপাশি চার পুলিশসহ সাতজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার থেকে তাদেরকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। সিনহা হত্যাকা- নিয়ে আসামিদের পৃথক পৃথক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ গণশুনানি ॥ সিনহা হত্যাকা- নিয়ে আজ বাহারছড়ার শামলাপুর গণশুনানি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে এ সম্পর্কে নোটিস জারি করা হয়েছে। যারা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং বক্তব্য দিতে আগ্রহী তাদেরকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
×