ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে নির্বাচনী উত্তাপ ..

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১৫ আগস্ট ২০২০

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে নির্বাচনী উত্তাপ ..

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। করোনার কারণে নির্বাচনকালীন এ্যাডহক কমিটি হয়নি। স¤প্রতি সীমিত আকারে খেলাধূলা আয়োজনের নির্দেশনা মিলেছে। তাই নির্বাচনী উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে। ইতোমধ্যে বর্তমান কমিটির ব্যর্থতার বিস্তারিত তুলে ধরে অভিযোগপত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে শাটলারদের নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়, ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা হয় তারচেয়ে বেশি। সা¤প্রতিককালে ফেডারেশনের নানা কার্যক্রমে এই খেলাটি থেকে সরে গেছেন অনেকেই। অথচ ব্যাডমিন্টনের সুদিন ফিরিয়ে আনতে যেন কোন গরজই নেই সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহারের নেতৃত্বাধনি বর্তমান কমিটির। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে ফুঁসে উঠেন প্রতিপক্ষরা। প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী ফি. ম শামসুল আরেফিন সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরের বছর দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ওই সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) পাশ কাটিয়ে এবং নির্বাচন উপেক্ষা করে ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন বাহার। ওই ঘটনার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা প্রথম যুগ্ম সম্পাদক গোলাম আজিজ জিলানী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আর ফেডারেশনে যাননি! অভিযোগে জানা যায়, তিনি নিয়মকানুনের বালাই না রেখে সহসভাপতিদের ক্রম পরিবর্তন করেছেন। একজন সদস্যকে সহসভাপতি করেছেন এবং শূন্য পদগুলো পূরণ করেননি। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিন আগে এনএসসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি না দিয়ে স¤প্রতি ফেডারেশন থেকে এ্যাডহক কমিটি গঠন করার জন্য মন্ত্রণালয় ও এনএসসিতে চিঠি দিয়ে বিধি ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, এই কমিটির ২৭ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনেরই ব্যাডমিন্টন সংশ্লিষ্ট কোন জ্ঞান কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। বর্তমান কমিটির অনেকেই মামলার আসামী হয়ে জেল খেটেছেন। একজন নারী নির্যাতন মামলায় জেলখাটা আসামী এবং ব্যাডমিন্টনে নারী কেলেঙ্কারির দায়ে ২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে এসএ গেমসের ক্যাম্পে কোচের পদ থেকে বহিষ্কৃত ওই ব্যক্তিসহ বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি কমিটি গঠন করেন। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ২৩ বছর বয়সী একজন ছাত্রকে ফেডারেশনের সিইও হিসেবে রাখা হয়। যাকে মাসে ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে ফেডারেশনের তহবিল থেকে। অন্য কোন ফেডারেশনের এমন কোন পদ নেই। এভাবেই বাহারের ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনকে দেয়া এনএসসির অনুদানের টাকার অপচয় করা হচ্ছে। এছাড়া গত চার বছরে একটিও প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ব্যাডমিন্টন লিগ আয়োজন করতে পারেনি বর্তমান কমিটি, যা শাটলারদের রুটি-রুজির একমাত্র পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।
×