ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১২শ’ কোটি টাকার ভুয়া চেকসহ ৩ প্রতারক রিমান্ডে

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১৪ আগস্ট ২০২০

১২শ’ কোটি টাকার ভুয়া চেকসহ ৩ প্রতারক রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করে দেয়ার ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বগুড়ার ডিবি পুলিশ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে তাদের বগুড়ায় আনা হয়। পুলিশ প্রতারক চক্রের ‘ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক লোন সার্ভিস’ এর কথিত অফিস থেকে বিভিন্ন জনের স্বাক্ষরিত প্রায় ১২শ’ কোটি টাকার ৩৫টি চেক, ভুয়া নিয়োগপত্র, অর্ধশতাধিক সিমকার্ড, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভুয়া পরিচায়পত্র, প্রিন্টারসহ কম্পিউটার উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত চেক প্রতারণা ও জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত করা হয় এবং এগুলো ভুয়া বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ব্যাংক লোন সার্ভিস নামের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মূল হোতা- রাব্বি শাকিল ওরফে ডিজে শাকিল (৩২), আইটি এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) হুমায়ুন কবির (২৮) ও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হারুনর রশিদ ওরফে সাইফুল (২৬)। শাকিল ও তার আইটি এক্সপার্টের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এবং ম্যানেজারের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃতদের বগুড়া ডিবি পুলিশ আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ জানায়, ব্যাংক ঋণসহ অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত ঋণ অনুমোদন এমনকি চেক হস্তান্তরের কথা বলে শাকিল ও তার সহযোগীরা তাদের ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক লোন সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড নিজস্ব ফেসবুক পেজে তুলে ধরে। এতে দ্রুত ঋণ অনুমোদন করার কথা বলে নানাভাবে অনেককে প্রলুব্ধ করা হয়। বগুড়ার মালতিনগর এলাকার আমায়রা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আমানত উল্লাহ তারেক ও অভি এগ্রো ফার্মের আশিক নামের দুই ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে দ্রুত ঋণ পাওয়ার প্রলোভনে ওই ভুয়া প্রতিষ্ঠানের খপ্পরে পড়েন। পুলিশ আরও জানায়, প্রতারক চক্রটি প্রলোভন দেখায় যে, তারা ৩২টি ব্যাংকসহ ঋণ প্রদানকারী যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত যে কোন অংকের ঋণ অনুমোদন করে দেয়। তাদের খপ্পরে পড়া বগুড়ার দুই ব্যবসায়ীর একজনকে যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে ২ কোটি এবং অন্যজনকে আড়াই কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কয়েক দফায় তাদের নিকট থেকে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।
×