ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভাটারায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ৮ আগস্ট ২০২০

ভাটারায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আবুল খায়ের (৫২) নামে এক আবাসন ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সজীব বিল্ডার্স নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকে ওই কোম্পানির অধীনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আবুল খায়েরের মাথার পেছনে কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। ডিসি সুদীপ কুমার জানান, নির্মাণাধীন যে ভবনে আবুল খায়েরের লাশ পাওয়া গেছে। তিনিসহ মোট ৯ জন সেটার মালিক। তিনতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভবনের কাজ বন্ধ ছিল। বিকেলে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করছে। ভবনের মালিকতের মধ্যে তিনজনকে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিহত আবুল খায়ের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লকের ২১ নাম্বার রোডের ৬৯২ নম্বর বাসা জালাল গার্ডেনে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী ও এক ছেলে-এক মেয়ে রয়েছে। তার ছোট ভাই দৈনিক যায় যায় দিনের নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল বারী বাবলু জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ফোন পেয়ে ভাই আবুল খায়ের মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। রাতে আর ভাই বাসায় ফিরে আসেননি। ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে বিষয়টি ভাটারা থানায় জানানো হয়েছিল। পরের দিন শুক্রবার সকালে ওই নির্মাণাধীন ভবনের সামনে আবুল খায়েরের মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ভবনের ছাদের আবুল খায়েরের মৃতদেহ পায়। বাবলু জানান, আমার ভাই ডেভেলপারের ব্যবসা করত। ফলে জমি বেচাকেনার কাজ করতে হতো। মাঝে মাঝে দালালদের (মধ্যস্থতাকারী) মাধ্যমেও বেচাকেনা করতে হতো। কিছুদিন আগে একটি জমি কিনেছিলেন আমার ভাই। ওই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাকে জানিয়েছিলেন। সে সময় ভাই আমাকে বলেছিল, কোন একজন দালাল চাঁদা দাবি করেছিল। এটা নিয়ে ও একটু চিন্তিত ছিল। তবে বলছিল, এটার সমাধানও হয়ে যাবে। তারপর আর জানতে পারিনি। তাই আমার ও আমার ভাইয়ের পরিবারের ধারণা, এরকম কোন কারণ তাকে হত্যার পেছনে থাকতে পারে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
×