ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

একদিনের জন্যও কর্মস্থলে যাননি ১২ চিকিৎসক

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ২২ জুলাই ২০২০

একদিনের জন্যও কর্মস্থলে যাননি ১২ চিকিৎসক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২১ জুলাই ॥ যোগদানের পর একদিনের জন্যও কর্মস্থলে যাননি বাউফলের ১২ চিকিৎসক। তারা উপজেলা সদরে ব্যক্তিগত চেম্বার খুলে বসেছেন। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী বাউফল উপজেলায় ১২টি স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কেন্দ্রে ৩৯ বিসিএসের ১২ জন এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর এক দিনের জন্যও কর্মস্থলে যাননি। তারা থানা সদরে বসবাস করছেন এবং ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন। ওই চিকিৎসকরা হচ্ছেন, ডাঃ এরিনা আফসানা স্বর্ণা, কর্মস্থল হচ্ছে বগা, ডাঃ অমিত কুমার দেবনাথ, কর্মস্থল কনকদিয়া, ডাঃ মোঃ মোস্তফা হোসাইন, কর্মস্থল কেশবপুর, ডাঃ নুপুর আখতার, কর্মস্থল বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস, ডাঃ তাসিফুল ইসলাম, তার কর্মস্থল হচ্ছে সূর্যমনি, ডাঃ মোঃ তানভির আহম্মেদ, তার কর্মস্থল হচ্ছে নওমালা, ডাঃ মাহিন বিন কাসেম, কর্মস্থল কালাইয়া, ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান, কর্মস্থল নাজিরপুর, ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, কর্মস্থল আদাবাড়িয়া, ডাঃ শামিমা আখতার, তার কর্মস্থল হচ্ছে দাশপাড়া, ডাঃ সুব্রত কুমার বিশাবাস, তার কর্মস্থল কাছিপাড়া, ডাঃ খাদিজা আখতার সুমি, তার কর্মস্থল ধুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে হলেও কয়েক দিন আগে তিনি বদলি হয়ে গেছেন। এসব চিকিৎসকরা মাঝে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অফিসে আড্ডা দেন এবং গল্পগুজব করে চলে যান। বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডাঃ মোঃ মোস্তফা হোসাইনকে নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি কর্মস্থলে আসেন না। একদিন এসেছিলেন, তাও আমি ফোন দিয়ে আনিয়েছিলাম। তিনি না আসায় আমার এলাকার সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন।’ সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘শুনেছি আমার ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক দিনের জন্যও তিনি এখানে অফিস করেননি। এর ফলে আমার এলাকার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘ওই চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অফিস করার মতো কোন পরিবেশ নেই।
×