ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে হাটে বাড়তি খাজনা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ১৬ জুলাই ২০২০

নাটোরে হাটে বাড়তি খাজনা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৫ জুলাই ॥ বড়াইগ্রামের জোনাইল হাটে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কারণে গরু-ছাগলের ব্যাপারীরা ইতোমধ্যে হাট বর্জন করেছেন। এতে গ্রামের বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একদিকে ন্যায্য দাম না পাওয়া, অপরদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত খাজনা আদায় করায় হাটে কেনা বেচা করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম গরু-ছাগলের হাট হওয়ায় এ হাটে বিপুল পরিমাণ গরু ছাগলের আমদানি হয়ে থাকে। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার এ হাট বসে। পশু ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা এই জোনাইল হাট। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা অভিযোগ করেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনার চাইতে এই হাটের ইজারাদাররা বেশি টাকার খাজনা নিচ্ছেন। সরকারী হিসেবে গরুর ক্ষেত্রে ছোট-বড় ভেদে ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা খাজনা নেয়ার কথা থাকলেও নেয়া হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। ছাগলের ক্ষেত্রে ১শ’ থেকে সর্ব্বোচ্চ ৩শ’ টাকার পরিবর্তে নেয়া হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। একইভাবে হাঁস-মুরগিসহ অন্য ক্ষেত্রে দুই-তিন গুণ খাজনা আদায় করা হচ্ছে। ফলে অনেক ক্রেতা খাজনার টাকা দিতে না পেরে কোন কিছু না কিনেই বাড়ি ফিরে গেছেন। গরু-ছাগলের ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনার প্রতিবাদে হাট ত্যাগ করেছেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, খাজনার রসিদে থাকছে না টাকার অঙ্ক। ফলে ইজারাদাররা ইচ্ছেমতো ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে খাজনার অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক খাজনার তালিকা হাটের টোল উত্তোলনের স্থলে দৃশ্যমান থাকার কথা থাকলেও এ ধরনের কোন তালিকা হাটের কোথাও দেখা যায়নি। এ সুযোগে কয়েকগুণ পর্যন্ত বেশি খাজনা নেয়া হচ্ছে। ক্রেতা আব্দুল আলিম জানান, দুই হাঁস কেনায় ৮০ টাকা খাজনা আদায় করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে হাঁস না কিনেই হাট ত্যাগ করেছি। মাত্র ৪ হাজার টাকার একটি খাসির বাচ্চা কিনে ৩শ’ টাকা খাজনা দিতে হয়েছে। আবার বিক্রেতার কাছ থেকেও ১শ’ টাকা খাজনা আদায় করা হয়েছে। ইজারাদার শ্রী মৃনাল কান্তি ঘোষ জানান, গরু ছাগলের খাজনা কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনের কাছ থেকে খাজনা নিতে গিয়ে হয়তো কিছু বেশি নেয়া হচ্ছে। ব্যাপারীরা হাট বর্জন করা প্রসঙ্গে তিনি জানান, খাজনা কম দিতে তারা সিন্ডিকেট করেছেন। এ সময় রসিদে খাজনার টাকার পরিমাণ লেখা হয় না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব হাটেই এ রকম, তাই আমরাও লিখি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
×