ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিকেএসপিতে সংযোজন হচ্ছে নারী হকি বিভাগ

প্রকাশিত: ০০:২০, ১৫ জুলাই ২০২০

বিকেএসপিতে সংযোজন হচ্ছে নারী হকি বিভাগ

স্পোটস রিপোর্টার ॥ ফুটবলের পর এবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) নতুন সংযোজন হচ্ছে হকির নারী বিভাগ। বিষয়টি হকি অঙ্গনের জন্য নতুন এক অগ্রযাত্রা বলে মনে করেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সহ-সভাপতি সাজেদ এএ আদেল। বিকেএসপির নিবিড় পরিচর্যায় নিজেদের তৈরি করে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইনকে সমৃদ্ধ করবে কিশোরীরা, এমনটাই বিশ্বাস ফেডারেশনের এই কর্তার। বিকেএসপি। যে প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে এসে ক্রীড়াঙ্গন মাতাচ্ছেন মামুনুল ইসলাম, মামুনুর রহমান চয়ন, শিরিন আক্তার, সাকিল আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের মতো খেলোয়াড়রা। সেই ১৯৮৬ সালে ফুটবল ও ক্রিকেটÑ এই দুটি ডিসিপ্লিনের ৬০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার সাভারের জিরানিতে। পর্যায়ক্রমে ডিসিপ্লিন সম্প্রসারণ হতে হতে এখন হয়েছে ১৭টি। এরমধ্যে কয়েক বছর আগেই ফুটবলের নারী বিভাগ চালু হয়। এবার বিকেএসপিতে নতুন সংযোজন হচ্ছে হকির নারী বিভাগ। দেশের ৮ বিভাগে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে ৪৫ জনকে বাছাই করে বিকেএসপি। প্রধান ক্যাম্পাসে তাদের এক সপ্তাহ যাচাই-বাছাই করা হয়। সেখান থেকে ১৫ নারী হকি খেলোয়াড়কে ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাহফের সহ-সভাপতি আদেল জানান, ‘সবসময় কিন্তু আমাদের নারী হকি পিছিয়ে আছে, আমি করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশে হকির একটা অগ্রযাত্রা হলো। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তারা সিঙ্গাপুর গিয়েছিল এবং সেখানে তাদের যে পারফর্মন্সে ছিল তা খারাপ ছিল না। বিকেএসপি যে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে প্রতিষ্ঠানটি যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।’ স্কুল ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে এর আগে নারী হকি খেলোয়াড়দের তুলে আনে ফেডারেশন। যদিও আন্তর্জাতিক পরিসরে নারীদের পারফর্মেন্স তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না। তারপরও নিজেদের তৈরি করে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের পাইপলাইনকে সমৃদ্ধ করবে বিকেএসপির কিশোরীরা। বাহফে গত স্কুল হকিতে ৫০-৬০ জনকে বাছাই করে রেখেছে। এই করোনাকালটা শেষ হলেই তাদের নিয়ে ক্যাম্প করবে বাহফে। তারা আশা করছে হকিতে পাইপলাইনে যথেষ্ট খেলোয়াড় থাকবে।
×