ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাউদাম্পটন টেস্টে জমজমাট লড়াই

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১৩ জুলাই ২০২০

সাউদাম্পটন টেস্টে জমজমাট লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট ক্রিকেটে অনেক সময় ফল দেখে লড়াইটা ঠিক বোঝা যায় না। কখনও তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর শেষ বিকেলের শেষ মুহূর্তে ড্র, কখনও আবার হুট করেই তৈরি হয় ফলের আবহ। করোনাকালে সাউদাম্পটন টেস্ট দিয়ে অনেকদিন পর মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। বৃষ্টির কারণে প্রথমদিনের প্রায় পুরোটা নষ্ট হওয়ার পরও ‘ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বৈরথটা’ শেষ পর্যন্ত বেশ জমে ওঠে। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড। জবাবে ৩১৮ রান করে ১১৪ রানে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশরা ৩১৩ রানে গুটিয়ে গেলে রবিবার পঞ্চম ও শেষদিনে প্রায় ৮৫ ওভারে জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের সামনে ঠিক ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ হয়। টেস্ট ক্রিকেটে শেষদিনে যেটি করা সবসময়ই কঠিন। তবে অসম্ভবও নয়। বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রথমদিনে খেলা হয়েছিল ১৭.৪ ওভার। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দেয়া স্টোকস। ১ উইকেটে ৩৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়দিনে সফরকারী পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ইংলিশরা। ৬৭.৩ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন পাঁচ নম্বরে নামা সুপার স্টোকস। ওপেনার জো বার্নস ৩০, মিডলঅর্ডারে জস বাটলার ৩৫ ও শেষদিকে ডমিনি বেসের ৩১ রান ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দুই শ’তে নিয়ে যায়। সফরকারীদের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন হোল্ডার। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পথে ৪২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক। বাকি ৪ উইকেটের সবকটিই যায় আরেক পেসার গ্যাব্রিয়েলের ঝুলিতে। জবাবে প্রথম ইনিংসে চমৎকার ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ৩১৮ রান করে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। অভিজ্ঞ ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৬৫ এবং উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান শেন ডওরিচের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। জন ক্যাম্পবেল ২৮, শামারা ব্রুকস ৩৯ ও অলরাউন্ডার রোস্টন চেস করেন ৪৭ রান। উইন্ডিজের সংগ্রহ আরও বড় হতে দেননি স্টোকস। ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর মধ্য দিয়ে টেস্টে স্যার গ্যারি সোবার্সের পর দ্বিতীয় দ্রুততম ১৫০ উইকেট ও ৪ হাজার রানের ‘ডাবল’-এর মালিক হন এই অলরাউন্ডার। খেলেন ৬৪ ম্যাচ। স্পিনার ডমিনি বেস নেন ২ উইকেট। তিন শিকার তারকা পেসার জেমস এ্যান্ডারসনের। ১১৪ রানে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় ইনিংসে চমৎকার ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। সর্তকতার সঙ্গে ব্যাটিং করা জো বার্নস ৪২ ও আরেক ওপেনার ডম সিবলি ৫০ রান করে আউট হন। সপ্তম টেস্টে এটি তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি, এর আগে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। জো ডেনলি ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে জ্যাক ক্রাউলির ব্যাটিং ছিল দর্শনীয়। খাঁটি টেস্ট মেজাজে ৭৬ রান করে ফেরেন তিনি। পঞ্চম টেস্টে ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটসম্যানের এটি দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দিতে অধিনায়ক স্টোকসের ৪৬ এবং শেষদিকে জোফরা আর্চারের ২৩ রানের অবদান অনেক। উইন্ডিজের হয়ে গ্যাব্রিয়েল ৫, চেস ও জোসেফ নেন ২টি করে উইকেট। জয়ের জন্য ঠিক ২০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েন চেস ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। রবিবার শেষদিন চা-বিরতির আগে এ রিপোর্ট লেখার সময় সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭০। চেস ২৭ ও ব্লাকউড ২০ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন।
×