ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ৫টি মশার কয়েল তৈরি কারাখানায় অভিযান

প্রকাশিত: ২১:৩১, ৭ জুলাই ২০২০

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ৫টি মশার কয়েল তৈরি কারাখানায় অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় এলাকায় অনুমোদন বিহীন ৫টি মশার কয়েল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১’র সদস্যরা। পরে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু প্রত্যেকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান ও কারখানাগুলোকে সীলগালা করে দেন। এছাড়াও তিতাস গ্যাস কোম্পানী ওই কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সেবা কর্পোরেশন, শারমিন কেমিক্যাল, সাব্বির কেমিক্যাল ওয়াকর্স, বিবি এন্টারপ্রাইজ ও শাহেলা ট্রেডিং নামের কারখানায় অভিযান চালানো হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- মোঃ রফিকুল ইসলাম(৪০), মোঃ আকাশ(২২), মোঃ সাইদুর রহমান(২৩), শ্রী টোকন সরকার(২৯) ও মোঃ সাইদুল ইসলাম(৩৯)। এ সময় কারখানাগুলো হতে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ব্রান্ডের কয়েল জব্দ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দনি চৌধুরী আরো জানান, উক্ত কারখানাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদন বিহীন ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। সেবা কর্পোরেশনের সিভিল ম্যাজিক, এ-টু-জেড ও গাজী পাওয়ার জাম্বো মশার কয়েল, শারমিন কেমিক্যালের তারা ও চমক মশার কয়েল, সাব্বির কেমিক্যাল ওয়ার্কসের গুড ফাইট মশার কয়েল, বিবি এন্টারপ্রাইজের ওয়ান স্টার, লাওন ম্যাক্স, তুলশী পাতা ও আইকন পাওয়ার মশার কয়েল শাহেলা ট্রেডিংয়ের এ্যাকটিভ ও বিঘো মশার কয়েলসহ ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে মশার কয়েল তৈরি ও পাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনকৃত কয়েলগুলো নিম্নমানের যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এভাবে কারখানা ৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত কারখানাগুলোর প্রত্যেকটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করে আসছে।
×